বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ
১৩ এপ্রিল ঢাকায় আসছে পাকিস্তান দল
বাংলা নববর্ষের আগের দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এ সফরে তারা দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং একটি টি২০ ম্যাচ খেলবে। মঙ্গলবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন।
এরআগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছিল বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য ক্রিকেট দলকে অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। তারই ধারবাহিকতায় গত সোমবার পিসিবির সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা আজম খান ঢাকায় এসে পৌঁছান। গত দুই দিন পিসিবির সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিসিবির কর্তা-ব্যক্তির সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকেও মিলিত হয়েছেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে মনে করছেন বিসিবির কর্মকর্তরা।
আর তাই পাকিস্তান দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তাও দেখছেন না বিসিবির প্রধান নির্বাহী। মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেয়িডামে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে নিজাম উদিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমরা আশা করছি পাকিস্তান দল ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সফরে আসবে। আমরা সেভাবে সফরের সূচী তৈরি করে পিসিবি বরাবরে পাঠিয়েছি। পিসিবির অনুমোদন পেলেই খেলার সূচী পরে আপনারদেরকে জানানো হবে।’
যদিও এরআগে বাংলাদেশ সফরে বিসিবির আয়ের ৫০ শতাংশ দাবি করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আর দ্বিতীয় শর্ত হিসেবে বাংলাদেশকে তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাকিস্তানে পাঠাতে বলেছিল তারা। কিন্তু বাংলাদেশ সফরে আসতে পাকিস্তানের শর্ত দুটি বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ মানবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এর প্রতিক্রিয়ায় পিসিবি জানিয়েছিল, ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিল পাকিস্তান দল; এবার বাংলাদেশের ফিরতি সফরে যাওয়ার কথা। ২০১২ সালে একটি লিখিত প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল তারা। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত রাখেনি বিসিবি। ফলে এই সফরটা এক হিসেবে পাকিস্তানের ‘হোম সিরিজ’। এমনকি পাকিস্তানের এই হোম সিরিজের দাবিও মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল বিসিবি। তবে দুই বোর্ড শেষ পর্যন্ত স্ব-স্ব অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছে বলেই জানিয়েছেন বিসিবির কর্মকর্তারা।
মন্তব্য চালু নেই