১/১১’র কুশিলবরা সরকারের মন্ত্রিসভায় দাবা খেলছে : মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, “সংলাপের উদ্যোগ নেয়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এক-এগারো’র কুশিলব নয়, বরং এক-এগারো’র কুশিলবরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীসভায় দাবা খেলছে।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘চলমান রাজনৈতিক সংকট ও আমাদের ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে নাগরিক ছাত্র ঐক্য। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক নাজমুল হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, জাসদ (রব)-এর নেতা আব্দুল মালেক রতন ও এমএ গোফরান সেখানে বক্তব্য রেখেছেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “বার্ন ইউনিটে গিয়ে মায়াকান্না করা বাদ দিন। কোনটা গ্লিসারিনের কান্না আর কোনটা আসল কান্না- সে বিতর্ক আমরা করব না। তবে মমতাময়ী মা কানতে কানতে অস্থির হয়ে গেছেন।”

তিনি বলেন, “সংলাপের প্রস্তাবে সরকার সাড়া না দিলে এক সময় কথা বলারও সুযোগ পাবে না।”

বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি না করতে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মান্না। তিনি বলেন, “নাশকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে যেসব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, সেসবের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়মুক্তি দেয়া হচ্ছে।”

“সরকারের এমপিরা পুলিশ পাহারায় বাড়িতে যায়। আবার বলে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ক্ষমতাসীনদের লজ্জা নেই। তারা ঘড়ের ওপর চেপে বসে আছে।” বিভিন্ন স্থানে পেট্রলবোমা হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ জড়িত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি জানান মান্না।

আওয়ামী লীগের সাবেক এ নেতা বলেন, “ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচনে বিরোধীদল না থাকলে না থাকবে। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছেড়ে দেয়া হবে না। হঠাৎ করে একদিনেই ডিসিসি’র সীমানাবিতর্ক শেষ হয়ে গেল। এটি কেমনে সম্ভব? আলাদিনের চেরাগ একটি আছে আলাদিনের কাছে, আরেকটি হাসিনার কাছে।”

আসিফ নজরুল বলেন, “ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ রোগীদের দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হচ্ছেন। কিন্তু ক্রসফায়ারে নিহতদের স্বজনদের কান্না দেখে কি মমতাময়ী মায়ের কোনো কান্না আসে না?”

তিনি বলেন, “বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মতো এমন ফ্যাসিস্ট সরকার নব্বইয়ের পর আর দেখিনি…। এরশাদ ও খালেদার সময়ও বিরোধীদল তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারত। কিন্তু এখন পারছে না। এরশাদ-খালেদার মধ্যেও নির্বাচনের পর পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার অহংকার ছিল না। এ সরকার পাঁচ বছর থাকবে বলছে।”



মন্তব্য চালু নেই