১০ লাখ ডলার বিদ্যুৎ বিল বাকি, তাই অন্ধকারে মারকানা
ফুটবলের তীর্থভুমি বলা হয় মারকানা স্টেডিয়ামকে। এটি ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর। ২০১৬ রিও অলিম্পিক উপলক্ষে মারাকানা পরিণত হয়েছিল অলিম্পিক স্টেডিয়ামেও। বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামে পা পড়লে একজন ফুটবলার নিজের খেলোয়াড়ী জীবনকে স্বার্থক মনে করেন। সেই মারাকানাই কি না বিদ্যুতের অভাবে রয়েছে পুরোপুরি অন্ধকারে।
১০ লাখ ডলার বিল বাকি পড়ার কারণেই এক সপ্তাহ আগে কেটে দেয়া হয়েছে বিদ্যুতের সংযোগ। মূলতঃ সমস্যা দাঁড়িয়েছে, ১০ লাখ ডলার বিদ্যুৎ বিল কে পরিশোধ করবে তা নিয়েই। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী যে পরিশোধ করুক, বিদ্যুৎ বিল হাতে পেলেই তারা আবার সংযোগ দিয়ে দেবে।
মূলতঃ অলিম্পিক গেমসের পরই মারাকানার পরিচলানা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। কে এই স্টেডিয়ামের মালিক, কে পরিচালনা করবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে মতপার্থক্য। এপির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিচালনা নিয়ে কয়েকটি পক্ষ তৈরি হওয়ার কারণেই কেউ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। অথচ তাদেরই বিল পরিশোধের কথা। যখনই কেউ বিল পরিশোধ করবে, তখনই আমরা সংযোগ দিয়ে দেবো।
জানা গেছে, গত অলিম্পিক গেমসের সময়ই স্টেডিয়ামটির পরিচালনার ভার নিয়ে নেয় ব্রাজিলের অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ। তারা এই মাঠটি ব্যবহার করেছে উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠান ও কয়েকটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের জন্য।
এরপর থেকেই বলতে গেলে মারাকানা অবহেলিত। যা গত কয়েক সপ্তাহে এসে চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে। মাঠে প্রবেশ পথের পাশে গ্যালারির শতাধিক আসন ভাঙা-চোরা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যেগুলো অপসারন করে নতুন আসন বসানো জরুরী। সঠিক কর্তৃপক্ষ না থাকার কারণে স্টেডিয়ামের বেশ কিছু টেলিভিশন সেট ইতিমধ্যে চুরি হয়ে গেছে।
একই সঙ্গে পানির অভাবে পুরো মাঠ বাদামী রঙ ধারণ করেছে। মাঠের যে অংশে কৃত্রিম টার্ফ রয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তার কিছু কিছু অংশ উঠে যেতে শুরু করেছে। অথচ, এসব যেন দেখার কেউ নেই।
মন্তব্য চালু নেই