১০৫ বছরেও জোটেনি বয়স্কভাতা
‘কতো জুওয়ান মানুষ বয়স্ক ভাতা পায়, আর মুই (আমি) পাই না। আর কত বয়স হইলে বয়স্ক ভাতা পাইমু (পাব)। মুইতো (আমিতো) গরীব মানুষ, মোর কষ্টের কতা (কথা) কেউ হুনেনা (শোনেনা), বোঝেও না।’
বয়সের ভারে ন্যুব্জ বৃদ্ধ ১০৫ বছরের আরমান আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রতিবেদকের কাছে একথাগুলো বলেন।
সরেজমিন কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পূর্ব রাজনগর গ্রামের আরমান আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভিটায় ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘর। জরাজীর্ণ ঘরেই তার বসবাস। ছেলে বিয়ে করে নাতি-নাতনি নিয়ে যে যার মতো বসবাস করছে। বয়সের ভারে আরমান আলীর জীবন কাটছে অবহেলা আর অনাহারে। ন্যূনতম অধিকার যেন নেই তার বেঁচে থাকার। পাননি এতো বছর বয়সেও সরকার থেকে নির্ধারিত বয়স্কভাতার কার্ড। নিজের কোনো জায়গা-জমি না থাকায় পরের জায়গায় কাজ করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করেন তার ছেলেরা।
আরমান আলী আক্ষেপ করে জানান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যার কাছে বয়স্কভাতার কথা কতবার বলেছি তার কোনো ইয়াত্তা নেই। কিন্তু তারা আমাকে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দেননি।
ইউপি সদস্য ফরিদ আলী জানান, ‘আমরা এ বছর নতুন তালিকা হলে তার নাম দেয়ার চেষ্টা করব।’
পৃথিমপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, ‘আমি শিগগিরই সমাজসেবা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আরমান আলীর বয়স্কভাতার ব্যবস্থা করে দেব।’বাংলামেইল
মন্তব্য চালু নেই