১০০ পেরিয়েছে পাকিস্তান
খুলনা টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৩২ রানের জবাবে ব্যাট করছে পাকিস্তান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৪ রান। ব্যাট করছেন মোহাম্মদ হাফিজ (৬৫) ও আজহার আলী (১৯)।
পাকিস্তানের ১৭ রানে নিজের প্রথম ওভারেই আঘাত হেনেছিলেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। মোহাম্মদ হাফিজকে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করান তিনি। আম্পায়ার আউটও দিয়েছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান হাফিজ। থার্ড আম্পায়ার নট আউট ঘোষণা করেন। এরপর ইনিংসের ১৫তম ওভারে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। তাইজুলের বল সামি আসলামের গ্লাভসে লেগে চলে যায় মুশফিকের বিশ্বস্ত গ্লাভসে। কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন সবাই মিলে। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি। এগিয়ে এসে মুশফিককে রিভিউ নিতে বলেন সাকিব। রিভিউ নিয়ে সফলও হয় বাংলাদেশ। সামির বিদায়ে ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। ২০ রান করেন অভিষিক্ত সামি।
এর আগে প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ২৩৬ রানের সঙ্গে দ্বিতীয় দিন ৯৬ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনে ৮৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট এবং দ্বিতীয় সেশনে ৭ রানে বাকি ২ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
বুধবার নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দিনের শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দিনের মাত্র চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৪৩ রানে বিদায় নেন সাকিব। পাকিস্তানের স্পিনার জুলফিকার বাবরের বল উঠে এসে মারতে যান এই বাঁহাতি। কিন্তু বলটি তার ব্যাটের ভেতরের অংশে লেগে চলে যায় লেগ প্লিপে দাঁড়ানো আসাদ শফিকের হাতে। ৬১ বলে ৩ চারে ২৫ রান করেন সাকিব। সাকিবের বিদায়ের পর অভিষিক্ত সৌম্য সরকারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। ফিফটি রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন দুজন।
রানের চাকা সচল রেখে দলের স্কোর ৩০০ পার করেন মুশফিক-সৌম্য। কিন্তু শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা সৌম্য বিদায় নেন দলীয় ৩০৫ রানে। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ওভার বাউন্ডারি মারতে গিয়ে উঁচুতে বল তোলেন সৌম্য। কভার থেকে দৌড়ে গিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন আসাদ শফিক। ৫৫ বলে ৫ চারে ৩৩ রান করেন সৌম্য। মুশফিক-সৌম্য জুটিতে আসে ৬২ রান।
সৌম্যর বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরেন মুশফিক। দলীয় ৩১০ রানে ইয়াসির শাহর বলে মিসবাহ-উল-হকের তালুবন্দি হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ২ রান জমা হতে ফিরে যান নতুন ব্যাটসম্যান তাইজুল ইসলাম। ইয়াসিরের বলে বোল্ড হন তিনি।
তাইজুলের বিদায়ের পর একটু আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন শুভাগত হোম ও অভিষিক্ত মোহাম্মদ শহীদ। ৮ উইকেটে ৩২৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান দুজন। কিন্তু বিরতির পর স্কোরবোর্ডে ৭ রান জমা হতেই ইনিংস গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের। দলীয় ৩২৯ রানে ওয়াহাব রিয়াজের বলে মিসবাহকে ক্যাচ দেন শহীদ (১০)। এক ওভার পর ওই রিয়াজের বলেই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন রুবেল হোসেন। ১২ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত। পাকিস্তানের পক্ষে ইয়াসির ও ওয়াহাব নেন সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট। হাফিজ ও বাবরের ঝুলিতে জমা পড়ে ২টি করে উইকেট।
প্রথম দিন মুমিনুল ৮০, ইমরুল কায়েস ৫১, মাহমুদউল্লাহ ৪৯ ও তামিম ইকবাল ২৫ রান করে আউট হয়েছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই