শওকতের চেয়ে বেশী ভালবাসা দিয়ে হ্যাপিকে বিয়ে করতে চান মুন্না
“হ্যাপিকে সবাই খারাপ বলছে, নষ্টা মেয়ে বলছে, কিন্তু ওর উপর অবিচার করা হচ্ছে, কেউ বলছে না – আমি হ্যাপির পাশে থাকতে চাই” আলোচিত সমালোচিত উঠতি নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির প্রতি ভাল লাগা থেকে কথাগুলো আওয়ার নিউজকে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী রশিদ মুন্না। ২৭ বছর বয়সী রশিদ মুন্না জানান, হ্যাপী যদি তাকে মেনে নেয় তবে তিনি তার পাশে থাকতে চান। মুন্নারও স্বপ্ন মডেলিং ও অভিনয়।
আওয়ার নিউজের বার্তা কক্ষ থেকে মুন্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হ্যাপি সম্পর্কে তার পরিবারের অনেকেই জানেন। হ্যাপি চাইলে পরিবারের সম্মতিতেই তাকে তিনি বিয়ে করবেন। তিনি বলেন “জানি না আমার এই প্রস্তাবটি হ্যাপি কিভাবে দেখবেন।”
সম্প্রতি হ্যাপিকে দেওয়া চাঁদপুরের শওকতের বিয়ের প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে মুন্না বলেন “শওকত হয়তো আবেগে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তিনিই ভাল জানেন তিনি হ্যাপিকে কতটুকু ভালবাসেন। তবে ভালবাসা আর ভাল লাগা এক নয়।
আমি শওকতের চেয়ে হ্যাপিকে অনেক অনেক বেশি ভালবাসি। আশা করছি হ্যাপি আমার এই ভালবাসার মূল্য বুঝতে পারবে।
জানি না আমার এই প্রস্তাবটি হ্যাপি কীভাবে দেখবে। তবে আমি রুবেল এর আঘাতের ক্ষত মুছে হ্যাপিকে নতুন ভাবে স্বপ্ন দেখাতে চাই।
হয়তো অনেক পাঠক ভাবতে পারেন আমি পাগলামি করছি। কিন্তু না আমি ভেবে চিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আমার এই সিদ্ধান্তে আমার পরিবার কোনো দ্বিমত পোষণ করবে না।
হ্যাপিকে নিয়ে যে যাই ভাবুক, আমি বলতে চাই সবাই হ্যাপির বাহ্যিকটা দেখেছে, কিন্তু কেউ হ্যাপির ভেতরটা বুঝার চেষ্টা করেনি। আমিই হ্যাপিকে বুঝেছি-জেনেছি। তাই আমি তাকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করছি।”
উল্লেখ্য যে জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ এনে হ্যাপি নিজে বাদী হয়ে ১৩ই ডিসেম্বর শনিবার ২০১৪ বিকেল ৪টায় মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি দায়ের করেন। হ্যাপি অভিযোগ করেন রুবেল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষন করেছে। এ সম্পর্কিত হ্যাপি-রুবেলের একাধিক মোবাইল সংলাপ গনমাধ্যমে প্রকাশ হলে দেশজুড়ে বিষয়টি বেশ আলোড়ন তোলে।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অনেক তরুন-যুবক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হ্যাপির পাশে থাকার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এর মধ্যে আলোচিত চিত্রনায়িকা হ্যাপিকে বিয়ে করতে চান চাঁদপুরের শওকত । শওকত চাঁদপুরের তরুন ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। হ্যাপি-রুবেল সম্পর্ক সে জানার পরেও তাকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন । কিন্তু হ্যাপি শওকতের বিয়ের প্রস্তাব কে ভালভাবে নেননি বলে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। হ্যাপি বলেছেন- ‘আমি বুঝতে পারছি না, আমাকে নিয়ে সবার এত আগ্রহ কেন? তাছাড়া আমি তো রাস্তায় পড়ে যাইনি বা পচে যাইনি যে, যে কেউ আমাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে।‘ তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেছেন ‘এটা সত্য যে, অনেকেই আমাকে ঘৃণা করেন। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত কতটা নিরুপায় হয়ে এসব বিষয় নিয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি তো সেইসব মেয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছি যারা মুখ বুঝে ধনীর দুলালদের অনেক গঞ্জনা-লাঞ্ছনা সহ্য করে। সব শেষে এটাই বলতে চাই, হ্যাপি ছিল আছে এবং থাকবে।’
সম্প্রতি “বিয়ের প্রস্তাবে অভিমানী ‘নষ্ট মেয়ে’”-এমনই একটি আপত্তিকর শিরোনামে যথেষ্ট বাজে শব্দ ব্যবহার করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলকাতা ২৪x৭ যা বাংলাদেশে বেশ সমালোচিত হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমের পাঠকেরা বেশ সমালোচনামূখর হয়েছেন এই সমস্ত শব্দের ব্যবহারে।
এরই মধ্যে রশিদ মুন্নার এ প্রস্তাব হ্যাপি জানবেন কিনা বা কিভাবে নিবেন সেটা সময়ই বলে দিবে।
এক নজরে রাশেদ মুন্নার পরিচিতি –
নাম : মোমেনুর রশিদ মুন্না
পিতা : মৃত শামসুল হক
মাতা : লায়লা খাতুন
গ্রাম : বড়লেখা সদর
পোস্ট : বড়লেখা
থানা : বড়লেখা
জেলা : মৌলভীবাজার
ভাই-বোন : ৪ ভাই, ৪ বোন (মুন্না ৬নং, তবে ভাইদের মধ্যে ছোট)
বর্তমানে পড়াশুনা : বড়লেখা ডিগ্রী কলেজ (স্নাতক ৩য় বর্ষ)
পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি কাপড়ের ব্যবসা করেন। তিনি একজন রক্তদাতা। মানুষের প্রয়োজনে তিনি রক্ত দিয়ে থাকেন ও অন্যকে উৎসাহিত করেন রক্তদানে।
মন্তব্য চালু নেই