হেরেই গেল সাকিবের কলকাতা
বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ব্যাট করতে এসেও ১৫ বলে ৩ চারে ২৩ রান করেন। তিনি ছাড়াও ইউসুফ পাঠান ৩৭ বলে ৫২ রান করেন। বলতে গেলে বল হাতে সাকিব ও ব্যাট হাতে ইউসুফ দারুণ পারফরম্যান্স করেন। কিন্তু তাদের পারফরম্যান্স জেতাতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের দেওয়া ১৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা থেমে যায় ১৬৬ রানে। ফলে ৫ রানের দারুণ এক জয় পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
এ জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে অবস্থান নিয়েছে মুম্বাই। অন্যদিকে সমসংখ্যক ম্যাচ থেকে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
টস জিতে মুম্বাইকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান কলকাতার অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বাই। ৭৯ রানেই হারিয়ে বসে চার-চারটি উইকেট। কিন্তু এরপর কিরেন পোলার্ড ও হার্দিক পান্ডে মিলে ৯২ রানের জুটি গড়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দলীয় স্কোরকে ১৭১ রানে নিয়ে থামান। এ যাত্রায় হার্দিক ৩১ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬১ রান করেন। আর পোলার্ড ৩৮ বলে করেন ৩৩ রান।
১৭২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় কলকাতার। গম্ভীর ও উথাপ্পা মিলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। ইউসুফ পাঠান ও সাকিব আল হাসানের ব্যাট ভর করে কলকাতা জয়ের স্বপ্ন দেখলেও সেই স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয়নি। ১১৮ রানে সাকিব, ১২৮ রানে রাসেল, ১৪৪ রানে সুরিয়াকুমার ও ১৬০ রানে ইউসুফ পাঠান আউট হওয়ার পর ৫ বলে ১২ রান দরকার ছিল জিততে। সেই রান আর নিতে পারেননি পিযুস চাওলা ও উমেশ যাদব। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান পর্যন্ত করতে পারে কেকেআর।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন হার্দিক পান্ডে।
মন্তব্য চালু নেই