হেফাজত কখনও ভোটের মাঠে সরকারের পক্ষে দাঁড়াবে না : বিমানমন্ত্রী
হেফাজতে ইসলামসহ অন্যান্য ইসলামি সংগঠনগুলোর সঙ্গে আপস করলেও নির্বাচনের মাঠে তারা কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, আপস করলে হেফাজত বা অন্যান্য ইসলামি গ্রুপগুলোর ভোট পক্ষে নিয়ে আসতে পারব। কিন্তু যত আপসই করা হোক, যতই তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হোক, যতই মাথায় হাত বোলানো হোক, হেফাজত কখনও ভোটের মাঠে সরকারের পক্ষে দাঁড়াবে না।’
বিমান পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা নিয়ে আমরা বহুদুর এগিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়েছে। মাধ্যমিকে মেয়েদের সংখ্যা অনেক ক্ষেত্রে বেশি। এটা যেমন বাড়ছে, তেমনি হিজাব ও চোখ ঢাকা, মুখ ঢাকা, মুখ আবৃত করা ছেলে-মেয়ের সংখ্যাও বাড়ছে। এর সঙ্গে যদি নতুন পাঠ্যবই যুক্ত হয়ে যায়, তাহলে আমরা দেখতে পাব, নতুন প্রজন্ম এমন আবহের মধ্যে শিক্ষা লাভ করছে যে, আবহ তাদের মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা এবং জঙ্গিবাদের দিকে আকৃষ্ট করে। এ নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত।’
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে আপসের ফলে হেফাজত ভাস্কর্য নিয়ে এখন কর্মসূচি দিচ্ছে। ১০ মার্চ তারা কর্মসূচি পালন করবে। এরপর বিভিন্ন জাগায় ভাস্কর্য ভাঙার প্রস্তুতি নেবে। যদি আমরা সুপ্রিম কোর্টের সামনের ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপস করি, তাহলে এরপর দেখব মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক অপরাজেয় বাংলা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজু ভাস্কর্য বা মিন্টু রোডে শহীদ পুত্রকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যে ভাস্কর্য, এ সবই দেখব তুলে নেওয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভাস্কর্য আর মূর্তি মোটেও এক জিনিস নয়। মূর্তি পূজার প্রশ্ন এখানে আসে না। কিন্তু তারা যেভাবে পহেলা বৈশাখকে পূজার কথা বলেন, অন্যান্য পূজার অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিরুদ্ধেও কথা বলেন। তেমনি আজ ভাস্কর্যকে মূর্তি বানিয়ে সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা তারা করছে।’
মন্তব্য চালু নেই