হেঁটে ব্যায়াম করেন? অবশ্যই মনে রাখুন ৮টি বিষয়

হাঁটা একটি শারীরিক ব্যায়াম যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অনেকেই হাঁটছেন শরীরটাকে সতেজ এবং প্রাণবন্ত রাখতে। নিয়ম করে সকাল বিকাল হাঁটলে শরীরের ক্যালরি নিঃশেষিত হয়। এজন্য প্রতিদিন আমরা অনেকেই হাঁটছি কিন্তু বিশেষ কিছু নিয়ম অনুসরণ করছি না। বরং গড়ে তুলছি কিছু বদঅভ্যাস। ইতিবাচক ফলাফল চাইলে আজই এসব বাজে বদঅভ্যাসগুলোকে বর্জন করুন।

১. হাঁটার জুতা বাদে ভুল জুতা পরে হাঁটা :
অনেকেই শুধু সকাল বিকাল নিয়ম করে হাঁটাটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন কিন্তু ঠিক কাজের জন্য ঠিক বিষয়টিকে একেবারেই বাছাই করছেন না। হাঁটতে সুবিধার জন্য বিশেষ কিছু জুতা বাজারে সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। যেহেতু অনেকদূর হাঁটাহাঁটি করতে হচ্ছে সেহেতু এই জুতোগুলো পড়ে হাঁটা বেশ আরামদায়ক। এগুলোতে পায়ে ফোসকা পড়া বা অন্য কোনো সমস্যা হওয়ার কোনো সমস্যা থাকে না। কিন্তু অনেকেই এসব জুতোর বিষয়ে না ভেবে শুধুমাত্র হেঁটেই যাচ্ছেন। এর ফলে পড়ছেন বিভিন্ন ধরনের সমস্যাতে। তাই হাঁটার সুবিধার জন্য এই বদঅভ্যাসটি ত্যাগ করা উচিৎ।

২. ব্যথাকে গুরুত্ব না দেয়া :
অনেকসময় হাঁটতে গিয়ে ব্যথা পেয়ে থাকেন অনেকে। এমন অবস্থাতে অনেকেই আছেন যারা ব্যথাটিকে তেমন একটা প্রাধান্য না দিয়ে প্রতিদিনের মত হাঁটতে থাকেন। কিন্তু এই কাজটি করা একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ এই ব্যথা থেকেই আপনার ভবিষ্যতে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই হাঁটতে গিয়ে যেকোনো ধরনের ব্যথা পেলে সেই বিষয়ে সচেতন হোন।

৩. ইচ্ছামত খাবার খাওয়া :
সাধারণত যারা হেঁটে থাকেন তারা একটা খাবারের রুটিন মেনে চলেন। হাঁটার পরপরই তৈলাক্ত কোনো খাবার একেবারেই খাওয়া উচিৎ না। কেননা এ থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু অনেকেই এই ধরনের রুটিন একেবারেই মেনে চলেন না। যা ইচ্ছা করে তাই খেতে থাকেন। এই বাজে অভ্যসটি বর্জন করা উচিৎ। হাঁটার পরপর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া উচিৎ।

৪. আমি এমনিতেই হাঁটছি এমন মন্তব্য করা :
একটা নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে যদি কোনো কাজ করা হয়ে থাকে তাহলে ফলাফল ইতিবাচক আসতে বাধ্য। তাই আপনি যে হাঁটছেন তার একটি নির্দিষ্ট কারণ অবশ্যই থাকা উচিৎ। এভাবে মন্তব্য করা উচিৎ না যে আপনি উদ্দেশ্যবিহীনভাবে হাঁটাহাঁটি করছেন।

৫. ওয়ার্ম আপ না করা :
প্রতিদিন হাঁটা এক ধরনের ব্যায়াম। হাঁটতে যাওয়ার আগে এবং পরে নির্দিষ্ট নিয়মে ওয়ার্ম আপ করা উচিৎ। এতে করে শরীরে কোনো ধরনের ব্যথা অনুভূত হবে না। কিন্তু অনেকেই শুধু হেঁটেই যান নিয়ম করে ওয়ার্ম আপ করেন না। তারা ভাবেন যে হাঁটলেই শরীর ফিট থাকে অতিরিক্ত এই ওয়ার্ম আপের একেবারেই প্রয়োজন নেই। এই ধরনের ভ্রান্ত ধারণা বর্জন করুন।

৬. না খেয়ে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা :
না খেয়ে হাঁটলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে আলসারের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। এ কারণে হাঁটার সময়ে হালকা কিছু খেয়ে নেয়া ভালে। তবে অনেকেই এই নিয়মটি মানেন না। ফলে তারা কিছুদিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই বদঅভ্যাসটিও ত্যাগ করুন।

৭. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া :
প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করলে দেহ থেকে পানি নিঃসরণ হয়। ফলে দেহের পানি পূরণে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিৎ। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা হাঁটার সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না ফলে তাদের শরীরে পানি ঘাটতি জনিত সমস্যা হয়ে থাকে। এই অভ্যাসটিও ত্যাগ করুন বেশি করে পানি পান করুন।

৮. অন্যদের সাথে নিজের তুলনা করা :
অন্য মানুষজন যারা প্রতিদিন হাঁটছে তাদের প্রতিদিনের অভ্যাসের কারণে হাঁটার গতি একেক জনের একেক রকম। তাদের সাথে কখনই নিজের হাঁটার তুলনা করা উচিৎ না যে সে এত কিলোমিটার হাঁটতে পারছে আমি কেন পারছি না। এভাবে তুলনা করলে আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কেননা তাঁর হয়ত অনেকদিনের অভ্যাসের ফলাফল অনেকদূর হাঁটতে পারা। আবার সবার শারীরিক ক্ষমতাও বেশি থাকে না। এ কারণে সুস্থ থাকতে চাইলে এই বাজে অভ্যাসটিও বর্জন করুন।



মন্তব্য চালু নেই