হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখবে এবং ধমনী বন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করবে এই খাবারগুলো
হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোকে প্রতি বছর একটি বড় অংশের মানুষের মৃত্যু ঘটে থাকে। ধমনী বন্ধ হয়ে রক্ত চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যা হার্ট অ্যাটাক অথবা স্টোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হার্ট বা হৃৎপিন্ড সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে অক্সিজেন এবং পুষ্টি উপাদান পরিবহন করে। তাই হার্ট সুস্থ রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিছুটা সচেতনতা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস পারে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করতে। আবার কিছু খাবার আছে যা হার্টকে সুস্থ রাখে এবং ধমনী বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। এমন কিছু খাবার নিয়ে আজকের এই ফিচার।
১। কমলার রস
কমলার রসে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা ধমনী সুস্থ রাখে। এটি উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে। প্রতিদিন দুই গ্লাস করে ফ্রেশ কমলার রস পান করুন। কমলার রস প্রতিদিনের ভিটামিন সি, মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
২। স্যামন মাছ
স্যামন এবং অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ সার্ডিন ইত্যাদিকে হার্ট হেলদি খাবার বলা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা arrhythmia (অনিয়মিত হার্টবিট) এবং atherosclerosis( হার্টে ছিদ্র) প্রতিরোধ করে। American Heart Association সপ্তাহে একবার হলেও ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার খেতে বলা হয়েছে।
৩। হলুদ
হলুদের কারকিউমন নামের উপাদান রয়েছে যা ধমনী বন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে। টিস্যুর ইনফ্লামেশন দূর করে এবং চর্বি জমা রোধ করে। প্রতিদিন খাবারে হলুদ যুক্ত করুন।
৪। কাঠ বাদাম
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এক মুঠো কাঠ বাদাম রাখুন। এটি আপনার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে এবং মোটা হওয়া প্রতিরোধ করবে। এটি রক্তে এইচডিএল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৫। টমেটো
আলু, টমেটোতে উচ্চ পরিমাণ পটাসিয়াম রয়েছে। এছাড়া এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে, রক্তনালী খুলে থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। সালাদ কিংবা তরকারিতে টমেটো রাখুন।
৬। ডার্ক চকলেট
সমীক্ষা মতে ডার্ক চকলেট হার্ট সুস্থ রাখতে ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ ডার্ক চকলেট খাওয়ার চেষ্টা করুন, এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ করে। ডার্ক চকলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড রক্তচাপ, ইনফ্লামেশন দূর করে। মিল্ক চকলেটে এই উপাদানটি অনুপস্থিত থাকে।
৭। ডালিম
ডালিমের রসে ধমনী থেকে চর্বি দূর করে থাকে। এছাড়া দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে ডালিমে রস। প্রতিদিন ডালিমের রস পান করার চেষ্টা করুন।
মন্তব্য চালু নেই