হিল্লা বিবাহ সম্পর্কে জানুন, সচেতন হোন

আমরা অনেকেই হয়তো হিল্লা বিবাহের ব্যাপারে অনেক কিছুই জানি না। তাই নিম্নে জেনে নেয়া যাক হিল্লা বিবাহ কখন করতে হয় এবং এ বিবাহ সম্পর্কে কুরআনে কী বলা হয়েছেঃ

যখন হিল্লা বিবাহ করা যাবে
ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, যখন স্বামী তার স্ত্রীকে ইসলামী পন্থায় স্থায়ী (অর্থাৎ তিন তালাক) দিবে, এরপর সেই স্ত্রী তার পূর্ব স্বামীর জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যাবে। স্বামী আর কিছুতেই সেই স্ত্রীর সাথে পুনরায় স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। এমনকি সেই স্ত্রীকে বিবাহও করতে পারবে না। তবে এর মাঝে পার্থক্য আছে। তা হলো, ঐ তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে অন্য কোনো পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ব হতে হবে। তারপর তাদের মাঝে যৌন সঙ্গম হতে হবে। এরপর এই দ্বিতীয় স্বামী যদি স্বেচ্ছায় মহিলাটিকে তিন তালাক দেয়, তখন মহিলাটি তিন মাসের ইদ্দত করবে এবং যদি সে গর্ভবতী না হয়, তখনই তার পূর্ব স্বামী তাকে আবার বিবাহ করতে পারবে। যদি মহিলাটি দ্বিতীয় স্বামী দ্বারা গর্ভবতী হয়ে পড়ে, তবে এ ব্যাপারে ইসলামী পন্থা পালন করতে হবে।

হিল্লা বিবাহ সম্পর্কে কুরআনে যা বলা হয়েছে
সূরা বাক্বারা আয়াত ২৩০ এ বলা হয়েছেঃ

“তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয় বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করতে কোন পাপ নেই, যদি আল্লাহ্ এর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হল আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা, যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।”

এখানে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো যে, হিল্লা বিবাহে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে মহিলাকে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে হবে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে। এই আইন যেহেতু কুরআনে লিখিত, তাই এই আইন রদবদল করার সাধ্য কারোর নেই।



মন্তব্য চালু নেই