হিন্দু রাষ্ট্রে মুসলমানদের রোজা

আফ্রিকার বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ রাষ্ট্র মরিশাস। রাজধানী পোর্ট লুইস। বহুজাতিক, বহু-সাংস্কৃতিক এবং বহুভাষার জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশটি হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানকার সব মানুষই নিজ নিজ ধর্ম পালনে স্বাধীন। চলতি রমজানই তার বড় প্রমাণ। দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৭.৩% মুসলমান। সংখ্যায় কম হলেও গোটা মুসলিম জাহানে যখন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য ‍দিয়ে পবিত্র রমজান মাস পালিত হচ্ছে তখন মরিশাসের মুসল্লিরাও যথারীতি রোজা পালন করছে।

হিন্দু রাষ্ট্র হলেও মরিশাসে মুসলমানদের রমজান মাসের রোজা পালনে কোনো বাধা নিষেধ নেই। অন্যান্য দেশের মত এ দেশের মুসলমানেরা রমজান মাসের রোজা গুরুত্বসহকারে পালন করছেন।

দেশটিতে মুসলমানদের সংখ্যা কম হলেও তারা নামাজ রোজা কোরান হাদিস সুন্নাহ এবাদত বন্দেগী ও ইসলামিক রীতিনীতি অনুসরণে সোচ্চার। মরিশাসে মুসলমানদের এ বছর ১২ ঘণ্টা ৬ মিনিট রোজা রাখতে হচ্ছে। রাতে কনকনে শীত থাকলেও দিনের উত্তপ্ত রোদে কিছুটা কষ্ট অনুভব করছেন মাঠে ঘাটে খেটে খাওয়া রোজাদার মানুষগুলো।

রোজা পালনে বিঘ্নতা না থাকলেও সে দেশের মুসলমানরা রমজানে রাষ্ট্রীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রমজান মাসে বিভিন্ন দেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজের সময়সূচি পরিবর্তন করলেও মরিশাসে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না। রমজানেও পূর্বের নিয়মেই চলে সবকিছু।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তান, হেলমান্দের মতো প্রদেশগুলোতে হিন্দুদের স্কুলে যেতে দেয়া হয় না। সৌদি আরবে হিন্দুদের ধর্ম পালন করতে দেয়া হয় না। ধর্ম পালন করলে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়। যদিও সৌদিতে ১.১% হিন্দু ও ৫.৫% খ্রিষ্টান আছে।

এদিকে গত বছরের জুনে হিন্দুপ্রধান দ্বীপদেশ মরিশাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী ও বিশেষত মুসলিম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমিনা গারিব-ফাকিম। যা দেশটির সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।



মন্তব্য চালু নেই