হিটলারের সেই টেলিফোনটির নাম ‘ধ্বংসের যন্ত্র’!

অ্যাডলফ হিটলার স্বয়ং যে টেলিফোনটি ব্যবহার করতেন, সেটির নাম ‘ডিভাইস অব ডেসট্রাকশন’ বা ‘ধ্বংসের যন্ত্র’! বলা হয়ে থাকে যে, এই ফোনের মাধ্যমেই লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করতেন হিটলার। অবশেষে এটি নিলামে উঠতে যাচ্ছে।

দেখতে একেবারেই সাধারণ। লাল রংয়ের ফোনটি যেন কোনো অশনি সংকেত বহন করছে। টেলিফোনটির রং চটে গেছে। কালো অংশ বেরিয়ে এসেছে। পেছনের দিকে হিটলারের নাম খোদাই করে লেখাও রয়েছে টেলিফোনটিতে। আরো খোদাই করা রয়েছে নাৎসিদের প্রতীক চিহ্ন। ফোনটি বানিয়েছিল সিমেন্স।

এ মাসের ১৯ তারিখেই নিলামে উঠবে বিখ্যাত বা কুখ্যাত এই ফোনটি। ধারণা করা হচ্ছে, ৩ লাখ ডলার পর্যন্ত এর দাম উঠতে পারে। আমেরিকার মেরিল্যান্ডের ‘আলেক্সান্দার হিস্টোরিক্যাল অকশন্স’ এই ব্যাকেলাইট ফোনটিকে ‘হিটলারের মোবাইল যন্ত্র যা ধ্বংস বয়ে আনতো’ বলে মন্তব্য করছে। শুধু তাই নয়, এটাই সর্বকালের সর্ববৃহৎ অস্ত্র যা গোটা বিশ্বকে এক দারুণ পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শেষ দুই বছর এটা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়।

যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর জয়ের পর একজন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা হিটলারের বাঙ্কার থেকে এই ফোনটিকে সরিয়ে নেন। এ তথ্য জানান ওই কর্মকর্তার ছেলে র‍্যানাল্ফ রেইনার। বলেন, এই যন্ত্রটিকে হিটলার যুগের প্রতীক হিসাবে মনে করেননি আমার বাবা। তবে অনেকটা যুদ্ধের এক স্মৃতিচিহ্ন বলেই ধরে নিয়েছিলেন। নিলাম কম্পানি থেকে বলা হয়, রাশিয়ানরা র‍্যানাল্ফের বাবাকে ওই বাঙ্কারে যাওয়ার সুযোগ দেন। তারা হিটলারের স্ত্রী ইভা ব্রাউনের ব্যবহৃত কালো রংয়ের ফোনটি তার হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করে। কিন্তু ব্রিটিশ কর্মকর্তার জবাব ছিল যে তার লাল রং পছন্দ। তাই তিনি হিটলারের ফোনটিই নিতে চান।

হিটলারের আরো কিছু জিনিসপত্র উঠবে অকশনে। আছে একটি স্যুভেনির, চীনমাটির তৈরি একটি অ্যালসেশিয়ান কুকুর। এটা হেনরিক হিমলার দিয়েছিলেন হিটলারকে। হিটলারের ব্যক্তিগত টেবিলেই ছিল কুকুরটি। এটা বানানো হয়েছিল ডাচাও কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। এর দামও নেহায়েত কম নয়, উঠতে পারে ৩৫ হাজার ডলার। তবে হিটলারের কোনো জিনিস যে প্রথমবারের মতো নিলামে উঠছে তা নয়। এর আগে হিটলারের জ্যাকেট সাড়ে ৬ লাখ ডলারে বিক্রি হয়। সূত্র: ফক্স নিউজ।



মন্তব্য চালু নেই