হায়দরাবাদে তিন পা নিয়ে শিশুর জন্ম
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের একটি এলাকা জানগাঁও। ২১ মার্চ সেখানে এক নারী জন্ম দেন বিস্ময়কর এক মেয়েশিশুর। জন্মের সময়ই শিশুটির দুই পায়ের মাঝখানে বাড়তি একটা পা ছিল। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল পরিবারের।
জন্মের দুই দিন পর তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের নিলুফার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। সেখানে অস্ত্রোপচার করে ফেলা দেওয়া হয় বাড়তি একটি পা। সেই অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, জন্মের দুদিন পর ২৩ মার্চ শিশুটির অস্ত্রোপচার হয়। এই অস্ত্রোপচারে সময় লাগে তিন ঘণ্টা।
সফল অস্ত্রোপচারের পর শিশুটির মা শ্রীলথা কাঞ্চনাপল্লী শঙ্কামুক্ত হন। আর সুস্থভাবে তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দেন চিকিৎসকদের।
শ্রীলথা বলেন, ‘এমন সুন্দর একটি সন্তানের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। আমি নিশ্চিত ছিলাম চিকিৎসকরা তার বাড়তি পা বাদ দেওয়ার কোনো উপায় খুঁজে পাবেন। তাঁরা আমাকে হতাশ করেননি। সৃষ্টিকর্তাই তাঁদের পাঠিয়েছেন।’
শিশুটির অস্বাভাবিক অবস্থা ধরা পড়ে গর্ভে থাকা অবস্থায়। তবে বাড়তি ওই পা বাদে অন্য কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি তখন। সেই সময় থেকেই অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চিকিৎসকরা।
রমেশ রেড্ডি নামের নিলুফার হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘এমনটা সচরাচর চোখে পড়ে না। সাধারণত এক লাখের মধ্যে একটি শিশুর জন্ম এমন হতে পারে।’
মন্তব্য চালু নেই