হাসিনা-খালেদা সংলাপের চেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসংঘ : এম এ মোমেন

রাজনৈতিক সংকট দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মধ্যে সরাসরি সংলাপের চেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসংঘ। সদর দপ্তরের বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম এ মোমেন এমন আভাস দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে সঙ্গে আলাপকালে সদর দপ্তরের স্থায়ী প্রতিনিধি এম এ মোমেন এসব কথা বলেন।

এম এ মোমেন বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের দেওয়া প্রতিক্রিয়াটি তথ্যনির্ভর ছিল না। নির্বাচনটি যে কোনো জাতীয় নির্বাচন নয়, কেবলই স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ছিল, এ তথ্যটিও মুনের জানা ছিল না। এর মধ্যে সিটি নির্বাচনের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বিএনপির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো, কেন্দ্রে এজেন্ট না পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে।

২৮ এপ্রিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুনের মুখপাত্র জানান, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তদন্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এম এ মোমেন বলেন, সঠিক তথ্য জানার পর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের অচলাবস্থা নিরসনে আগাম উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ওসকার ফারনান্দেজ তারানকো মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের জন্য দুই নেত্রীর মধ্যে সংলাপ এবং তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নয়ন জরুরি। তারানকো এর মধ্যে দুই নেত্রীকে সংলাপে বসানোর উপায় খুঁজছেন। এ নিয়ে তিনি পররাষ্ট্র দপ্তর, সরকার ও ঢাকায় বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কীভাবে তা সম্ভব—এ বিষয়ে অবশ্য কেউ কোনো ধারণা তাঁকে দিতে পারছেন না।

বিএনপির পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মিডিয়া সেন্টারে লোক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোমেন। তাঁর ভাষ্য, বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়া পরিচয়ে
বিএনপির একজন লোক প্রতিদিনই মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত থাকছেন। সেখানে যেকোনো প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় বাংলাদেশে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রশ্ন উপস্থাপন করা হচ্ছে। এমনকি জাতিসংঘের শান্তি মিশনে কর্মরত সেনা সদস্য সম্পর্কেও নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মিডিয়া সেন্টার থেকে বিদেশি সাংবাদিকদেরও বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির কাছ থেকেও তারানকোর কাছে নিয়মিত ইমেইল যাচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয়ে জাতিসংঘ মিডিয়া সেন্টারে উপস্থিত থেকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পর্যন্ত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ও দেশের অবস্থা সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মোমেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এম এ মোমেন বলেন, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত আইন বিল পাস হওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রতিবেশী দুই দেশ দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। এটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দৃষ্টান্ত। প্রথম আলো



মন্তব্য চালু নেই