হাসিনার প্রলাপ বন্ধ হলেই সংলাপ, অন্যথায় নয়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনা সংলাপ করবেন কি করবেন না সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু সংলাপের অপেক্ষায় না থেকে বেগম জিয়া সময়মতো জনগণকে নিয়ে রাজপথে নেমে পড়বেন। খালেদা জিয়া সংলাপের জন্য অনন্তকাল হাসিনার দিকে তাকিয়ে থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে প্রার্থনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রলাপ বন্ধ হলে সংলাপ, অন্যথায় নয়। জনগণ চায় সুষ্ঠু নির্বাচন। সেজন্য জনগণ শেখ হাসিনাকে সংলাপের নামে এতো সময় দেবে না। জনগণ নিজেদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে চায়। কে নির্বাচিত হল আর কে নির্বাচিত হলো না তা ভেবে আইন সংশোধন করলে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সমঝোতার জন্য বঙ্গবন্ধু একাত্তরে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন। সে কথা আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। কিন্তু বর্তমান স্বৈরাচার সরকার দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতেই সংলাপে রাজি হচ্ছে না। শেখ হাসিনা দেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে দিয়ে স্বৈরতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করে নিজের ইচ্ছেমত দেশ চালাচ্ছে।’
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের কুৎসা রটানোর নৈতিক অধিকার নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে। আর সে কারণে তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ভাগবাটোয়ারের লোভ আমাদের পরিহার করতে হবে। কারণ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার সহজে ক্ষমতা ছাড়বে না। এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কারণ আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবতীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জয়ন্তু কুমার কুণ্ড, নির্বাহী কমিটির সদস্য অপূর্ণা রায়, যুবদলের সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দেবাশীস রায় মধু, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরুণ দে প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই