হাসিনার টার্গেট বিএনপিকে ধ্বংস করা : খালেদা
বিএনপিকে ধ্বংস করে শেখ হাসিনা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চান বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, বিএনপিকে নির্মূল করে সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে খালেদা এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, আইনের শাসন, নিরাপত্তা নেই। এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য। অথচ কোনো মানুষের জীবন নিরাপদ নয়।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। এই অভিযান কাদের বিরুদ্ধে। এই যে বিদেশি হত্যা করা হলো। কোনো ঘটনার কাউকে ধরতে পারলো না। এই লোক গুলো তাদের সমর্থনে কেউ ছিল। তাদের পক্ষে কাজ করে সেজন্য ধরা হয়নি। সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও অন্য দলের লোককে গ্রেপ্তার করা হলো। ১৬ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হলো। কয়জন অপরাধী? ’ সাম্প্রতিক সব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেত্রী।
খালেদা বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় কিন্তু স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর হাসিনার নিরাপত্তার জন্য না কি মসজিদে আজান দেয়া যাবে না। আজকে মসজিদে মাইকে আজান পর্যন্ত দেয়া হয় না। দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে কি কোনো উদ্দেশ্য আছে হাসিনার। হিন্দুদেরও মন্দির ভেঙেছে। জমি দখল করছে। কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। কারণ ছাত্রলীগ এসব ঘটনায় জড়িত।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত তিন মন্ত্রী মন্ত্রিসভায় হাজিরা দেয়। তাদেরকে নাকি পুলিশ খুঁজে পায় না। অথচ বিএনপির লোকদের ঘর থেকে আটক করা হচ্ছে।’
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈয়মূর আলম খন্দকার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদসহ ২০ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই