হাসিনার অধীনে নির্বাচনে গেলে ৫ বছর পরে কেন?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনেই যদি নির্বাচনে যেতে হয়, তাহলে ৫ বছর পরে কেন? ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেই তো যাওয়া যেতো।’
তাঁতী দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গয়েশ্বর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, তাঁতী দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘উনি তো ভারতপ্রেমী। কিন্তু ভারতের রাজনৈতিক সংস্কৃতিও তো তারা অনুসরণ করেন না।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন ভারতবর্ষের ষাট বছরের ইতিহাসেও হয়নি। ওই নির্বাচনে ভোটাররা কেন্দ্রে যাননি। আগামী নির্বাচন এমন হলে এবারও ভোটাররা কেন্দ্রে যাবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে আওয়ামী যদি টিকে থাকতে চায়, থাকুক। তবে এটা বলতে পারি- খালেদা জিয়া ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখে নির্বাচনকালীন রূপরেখার খবর গণমাধ্যমেই দেখেছি। এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। তবে আমরা এখনও বসিনি। দলে নানা রং, ঢং ও মতের লোক আছে। তারা কে কী ভাবছেন, সেটাও জানি না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি আমরা দলীয়ভাবেই সিদ্ধান্ত নেব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাগুলো আদালত নয়, সরকার দিয়েছে। এর পেছনে একটা উদ্দেশ্য নিশ্চই আছে? এক-এগারোর সরকারের সময়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা হয়েছিল, তার দ্বিগুণ ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তিনি প্যারোলে নির্বাচন করেছেন। ওই অবস্থাতেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে মামলাগুলো থেকে আদালত দায়মুক্তি দিয়েছে। বিপরীতে খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সচল করেছে। সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এসব রাজনৈতিক মামলা করেছে। রাজনীতি থেকে বিএনপি নেতাদের দূরে রাখতেই এসব করা হচ্ছে।’
এসব মামলা আদালতের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে বলেও জানান গয়েশ্বর।
মন্তব্য চালু নেই