হারানো মোবাইল ফেরত চাই, ভগবানকে খুশি করতে ৪ বছরের মেয়ের শিরোচ্ছেদ

বিদেশিদের একাংশের কাছে ভারত কুসংস্কারাচ্ছন্ন দেশ বলেই পরিচিত। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অবশ্য বদলাচ্ছে। সমাজ, ভারতীয়দের চিন্তাধারা যত স্বচ্ছ এবং বিজ্ঞানভিত্তিক হয়ে উঠছে, ততই আমরা‘কুসংস্কারাছন্ন’-এর ট্যাগগুলো দূর করতে পারছি শরীর থেকে। কিন্তু এর মধ্যেও এমনই কিছু ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে, যা শুনে শিউরে উঠতে হয়। মনে পড়ে যায় সেই আদিম নারকীয় সমাজের কথা, যেখানে বিজ্ঞান ছিল শুধুমাত্র একটা শব্দ। সম্প্রতি অসম-ও নজির গড়ল তেমনই এক ঘটনার। ৪ বছরের এক আদিবাসী মেয়েকে বলি দেওয়া হল শুধুমাত্র একটি মোবাইল খুঁজে পাওয়ার জন্য।

পুর্ব অসমের আদিবাসী গ্রাম রতনপুরে ঘটেছে এই নারকীয় ঘটনাটি। হনুমান ভিমজি নামে এক ওঝার নেতৃত্বে তিনজন ব্যক্তি মিলে ৪ বছরের একটি শিশুকে অপহরণ করে তার শিরোচ্ছেদ ঘটায়। এরপর তার হাত টুকরো টুকরো করে কেটে ভগবানের উদ্দেশে নিবেদন করে তারা। স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, ওই ওঝার মনে হয়েছিল শিশুটিকে বলি দিলেই ভগবান তুষ্ট হবেন এবং তার কন্যার হারানো মোবাইল ফেরত পাওয়া যাবে।

সনু গোদবা নামে ওই শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না গত ২৪ অক্টোবর থেকেই। তাঁকে মুণ্ডুহীন অবস্থায় পাওয়া যায় ৩১ অক্টোবর বিকেলে। পুলিশ জানিয়েছে কোনওরকম যৌন অত্যাচারের চিহ্ন পাওয়া যায়নি তার শরীরে। ঘটনার তদন্ত শুরু হলে পুলিশ হনুমান ভিমজি এবং তাঁর সাকরেদ-এর সন্ধান পান এবং এই কুকীর্তির কথা সামনে আসে। এরপর তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি দুই এখনও পলাতক।



মন্তব্য চালু নেই