হামলা হলে কীভাবে ঠেকাবে পাকিস্তান?

ক্রিকেটবিশ্বে আবার উশখুশ। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল ঘিরে চলছে আলোচনার ঝড়। বিদেশি ক্রিকেটারদের পাকিস্তান নিরাপদ রাখতে পারবে কি না, সেটি দেখতে মুখিয়ে আছে বিশ্ব। এই ম্যাচে খেলবেন বাংলাদেশের এনামুল হক বিজয়ও। পাকিস্তান দাবি করছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে ফাইনালকে নিরাপদ রাখা হবে।

যদি কোনো ধরনে বিপদ হয়, তাহলে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, সেটির ছোট একটি বর্ণনা দিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ। নিরাপত্তার খাতিরে অবশ্য সবকিছু খোলাসা করা হয়নি।

যদি আক্রমণ হয়, তাহলে প্রথমে দায়িত্ব নিবে সেনাবাহিনী। তারা আক্রমণে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক পড়বে অশ্বারোহী সৈন্যদলের। সঙ্গে থাকবে পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা। অশ্বারোহী সৈন্যদলের দায়িত্বে থাকছেন মুজাহিদ স্কোয়াডের এসপি ফয়সাল শাহজাদ। স্টেডিয়ামে অস্থায়ী হাসপাতালও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

লাহোরের ফাইনাল নিয়ে অন্য সবার মতো চিন্তিত পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। টুইটে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করো যদি বাজে কিছু ঘটে যায়। সেটা হলে পরবর্তী কয়েক দশকের জন্য পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হারিয়ে যাবে।’

২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান টিমবাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত। গেল ৮ বছরে এক জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের নারী দল ছাড়া আর কেউ যায়নি পাকিস্তান সফরে। নিজ দেশে ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটির বোর্ড। লাহোরে পিএসএলের ফাইনাল আয়োজন সেই মহড়ারই অংশ।

পিসিবি অনেক চেষ্টা করছে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশগুলো থেকে একজন করে প্রতিনিধিকে ফাইনালে উপস্থিত রাখতে। তারা দেখাতে চান, ক্রিকেটের জন্য পাকিস্তান নিরাপদ।

পিসিবি জানিয়েছে, খেলোয়াড়দের ‘বক্স সিকিউরিটি’ দেয়া হবে। তার মানে বাস থেকে মাঠ পর্যন্ত একজন একজন করে ঢুকানো হবে। প্রত্যেক খেলোয়াড় ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবেন।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে দর্শকদের মাঠে ঢুকানো হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ঢোকার অনুমতি পাবেন না। মাঠে আসার আগে থেকে সব দর্শককে কয়েক দফায় ‘চেক’ করা হবে।

স্টেডিয়ামের ৪০০ গজের ভেতর কোনো গাড়ি থাকবে না। পুলিশ আর সেনাবাহিনী দিয়ে পুরো স্টেডিয়ামে ঘেরা থাকবে।

মাঠের আশপাশে যে সব বাড়ি রয়েছে, তার মালিক এবং কর্মচারীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। সবাই নজরদারিতে থাকবেন।

খেলোয়াড়দের বুলেটপ্রুফ গাড়িতে করে মাঠে আনা হবে। সঙ্গে থাকবে স্নাইপারডগ। তবে মাঠে মোবাইল ফোন আনতে নিষেধ থাকছে না।



মন্তব্য চালু নেই