হামলার পরও প্রচারণায় খালেদা
হামলার পরও প্রচারণা থামাননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কারওয়ান বাজারে হামলার শিকার হওয়ার পর তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারণায় নামেন।
রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তিনি মির্জা আব্বাসের মগ প্রতীকের প্রচারণায় নামেন। এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ান বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। সেখানে বক্তব্য দেওয়ার একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারা হয়। এ ছাড়া লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।
তবে খালেদা জিয়া নিরাপদে ওই স্থান ত্যাগ করতে সক্ষম হন। তার গাড়িবহর মগবাজার হয়ে বেইলি রোডের দিকে চলে যায়।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ফারুক, ফজলুল করিম এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত অপর একটি গাড়ির চালক শাহেদ আহত হন। তাদের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে তৃতীয় দিনের মতো প্রচারণায় নামেন খালেদা জিয়া। কারওয়ান বাজারে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। এ সময় সেখানকার ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ভোট চান।
খালেদা জিয়া এ সময় বলেন, ‘চোরদের ভোট দেবেন না। সারা দেশে তারা শুধু চুরি আর চুরি করছে। আপনারা তাবিথ আউয়ালকে ভোট দেবেন।’ বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক খালেদা জিয়ার গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। লাঠি ও লোহার পাইপ দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে উপস্থিত প্রতিবেদক এর আগে জানান, বাসা থেকে বের হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর গুলশান-২, বনানী, মহাখালী ফ্লাইওভার হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে বিজয় স্মরণীর মোড়ে উপস্থিত হয় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। এরপর গাড়িবহরটি ফার্মগেটের উদ্দেশে রওনা দেয়। সাড়ে ৫টার একটু আগে বহরটি কারওয়ান বাজারে উপস্থিত হয়। এরপর খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে গণসংযোগ শুরু করেন।
গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে সোমবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বের হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এ্যাডভোকেট শামসুল রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত আছেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরাও (সিএসএফ) উপস্থিত আছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে তার বহরে দেখা যায়নি।
খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান চেয়ারপারসনের গাড়িবহরের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন রবিবার উত্তরায় গণসংযোগ করেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা তাকে প্রচারণায় বাধা দেন। পরে তিনি খিলক্ষেত ও যমুনা ফিউচার পার্কে প্রচারণা চালিয়ে আবার বাসভবনের ফিরে আসেন।
এর আগে শনিবার বিকেলে তিনি গুলশান, মহাখালী ও হাতিরঝিল এলাকায় গণসংযোগ করেন।
মন্তব্য চালু নেই