‘হামলার আশঙ্কায় গুলি ছুড়েছিলাম’

ভাতিজির বিয়েতে শটগানের গুলি ছুড়ে উল্লাস করার ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কারণ দর্শানোর নেটিশের জবাব দিয়েছেন ভেড়ামারা পৌর মেয়র শামীমুল ইসলাম ছানা।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে লিখিত জবাব দেন পৌর মেয়র।

লিখিত জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমি একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। প্রতিপক্ষরা আমাকে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। আগে থেকেই সংবাদ ছিল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা হতে পারে। সে কারণে বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ উদযাপনের নামে গুলি ছুড়েছি। এখানে আতঙ্কের কোনো ঘটনা ঘটেনি। গুলি ছোড়ার আগে অনুমতি নিতে হয়, এটি আমার জানা ছিল না। এ ধরনের ভুল আর হবে না।’

তিনি শেষবারের মতো ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

মেয়র জবাবে আরো লিখেছেন, ঘটনার পরের দিন তিনি ভেড়ামারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

বিধিবহির্ভূত অস্ত্র ব্যবহার করায় কেন তার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে মেয়রকে শোকজ করেছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে মেয়র সশরীরে গিয়ে শোকজের লিখিত জবাব দিয়েছেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান জানান, শোকজের জবাব দিয়েছেন ভেড়ামারা পৌর মেয়র শামীমুল ইসলাম ছানা। তিনি হামলার আশঙ্কা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বিয়ের অনুষ্ঠানে গুলি ছুড়েছেন বলে জবাবে উল্লেখ করেছেন।

অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি মেয়রের জানা ছিল না উল্লেখ করে শেষবারের মতো ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করেছেন। শোকজের জবাব পর্যালোচনা করে দু-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠানে শটগানের গুলি ছুড়ে দেশব্যাপী সমালোচিত ভেড়ামারার পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমুল ইসলাম ছানা। গুলি ছোড়ার এ দৃশ্য ফেসবুক লাইভে দেখানো হয়। পরে সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই