হাওরে সরকারের ত্রাণ যথেষ্ট নয় : নোমান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করেছেন, হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সরকার যে ত্রাণ দিচ্ছে তা যথেষ্ট নয়।

মঙ্গলবার সুনামগঞ্জে হাওর এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান এ কথা বলেন। সদর উপজেলার নীলপুর গ্রামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বিএনপির ত্রাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘সুনামগঞ্জে মোট চার লাখ পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চার লাখ পরিবারের জন্য অনেক বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন। সে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।’

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এ চাল, এ অর্থ হাওর এলাকার জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি আরো বলেন, ‘দুর্দশাগ্রস্ত হাওরবাসী জাগছে, জাগবে। তাদের অর্থ যে লুট করেছে, খেয়েছে এবং সরকারি আমলারা যারা বাঁধ বাঁধার নাম দিয়ে বাঁধেনি, এ ব্যাপারে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’

নোমান বলেন, ‘আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জেই চার লাখ কৃষক প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু তার তুলনায় কৃষককে পুনর্বাসনের জন্য সরকারের গৃহীত উদ্যোগ নিতান্তই অপ্রতুল।’

নোমান বলেন, ‘আমরা হাওরের দুর্গত মানুষের পাশে আরো আগে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানন্ত্রীর আসার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’

এ ছাড়া আগামী ৬ মাসের জন্য সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা, ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, হাওরে কৃষিঋণ মওকুফ ও নতুন ঋণ প্রদান, দুর্গত এলাকার ওয়ার্ড পর্যায়ে খোলাবাজারে চাল বিক্রি, হাওরের মানুষের জন্য জলমহাল উন্মুক্ত করার দাবি জানান আবদুল্লাহ আল নোমান।

পরে সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের সলুরগাঁও গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। ত্রাণসামগ্রী বিতরণের এই কার্যক্রম আগামী দুই সপ্তাহ অব্যাহত রাখা হবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুল হক আছপিয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী।



মন্তব্য চালু নেই