হাইপারফরম্যান্স ইউনিটে ডাক পাচ্ছেন ২২ ক্রিকেটার

আগামী মাসের শুরুতেই হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) কার্যক্রম শুরু করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই ইউনিটের কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের সাবেক কোচ পল টেরি। তবে কোন ক্রিকেটাররা এইচপি টিমে সুযোগ পাচ্ছেন, তা এখনো সুনিশ্চিত নয়; রয়ে গেছে জল্পনা-কল্পনা আর অপার কৌতূহলের বিষয় হয়ে।

তবে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, এইচপি ইউনিটে সুযোগ পাচ্ছেন ২২ জন ক্রিকেটার। আগামী ২-১ দিনের মধেই এই ইউনিটের জন্য নির্বাচিত ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে বিসিবির। নির্বাচকরা এরই মধ্যে ২২ ক্রিকেটারের নাম বিসিবিতে জমাও দিয়েছেন।

বিসিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, যে ২২ জন ক্রিকেটার হাইপারফরম্যান্স ইউনিটে ডাক পাচ্ছেন, এদের মধ্যে ব্যাটসম্যান হিসেবে রয়েছেন- লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, সাদমান ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহামুদুল হাসান ও তাইবুর পারভেজ। উইকেটরক্ষক হিসেবে ডাক পাচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নুরুল হাসান সোহান। স্পিনার হিসেবে থাকছেন নিহাদুজ্জামান ও সাকলাইন সজীব। অলরাউন্ডার হিসেবে মুক্তার আলীরও থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া পেস বোলার হিসেবে দেওয়ান সাব্বির, শুভাশিষ রায়, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি, আবু জায়েদ রাহী ও কামরুল ইসলাম রাব্বি থাকছেন বলে জানিয়েছে বিসিবির ওই সূত্র।

অন্যদিকে এইচপি ইউনিটের প্রধান কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে এগিয়ে এসেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২-৪ দিনের মধ্যেই প্রধান কোচের পদে যোগ দেয়ার কথা ইংল্যান্ডের ম্যালচি বার্নার্ড লয়ের। ‘ম্যাল লয়’ নামে পরিচিত এই কোচ ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে ৭টি ওয়ানডে খেলেছেন।

ম্যাল লয়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগে কাজ করবেন দেশীয় কোচরা। সূত্র জানায়, পেস বোলিং বিভাগে সরোয়ার ইমরান, ব্যাটিংয়ে জাফরুল হাসান, স্পিন বিভাগে ওয়াহিদুল হক গণি এবং ফিল্ডিংয়ে গোলাম মোর্তজা কাজ করবেন। উইকেটকিপিংটাও দেখার কথা গোলাম মোর্তজার। যদিও বিসিবি এই পদে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটকে দেখতে আগ্রহী। শেষ পর্যন্ত বিসিবির প্রস্তাবে রাজি হলেই এইচপি ইউনিটের উইকেটকিপিং কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে তাকে।

এ ছাড়া বিসিবি চেষ্টা করছে স্পিন ও ফিল্ডিং বিভাগে খ্যাতনামা কোনো বিশেষজ্ঞ কোচ আনতে। সেক্ষেত্রে বিসিবির চোখ রয়েছে জাতীয় দলের সাবেক ফিল্ডিং ও স্পিন কোচ সালাউদ্দিনের দিকেই, যিনি বর্তমানে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচ হিসেবে কাজ করছেন।

এইচপি ইউনিটটি সব সময়ই ২২ সদস্যের থাকবে। তবে খেলোয়াড় বদলাবে। এইচপি ইউনিটের বাইরে বিসিবি গঠন করবে ৪টি বিশেষায়িত স্কোয়াড, যেখানে এইচপিতে সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটাররাও থাকবেন। ব্যাটিং, পেস বোলিং, স্পিন বোলিং ও উইকেটকিপারদের নিয়ে গঠন করা হবে ওই চারটি বিশেষায়িত স্কোয়াড। খুব শিগগিরই এ সব স্কোয়াডের জন্য ক্রিকেটারদের তালিকা তৈরি করবেন নির্বাচকরা।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বিসিবি চালু করেছিল হাইপারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি), যা পরে ২০০৮ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমান সময়ের জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা এইচপি ইউনিটেরই ফসল বলা চলে। সম্প্রতি দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার পর নতুন করে এইচপি ইউনিট চালুর পরিকল্পনা বা উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।



মন্তব্য চালু নেই