হাইটেক পার্কে শিল্প স্থাপনে কর মওকুফ সুবিধা
দেশের সকল হাইটেক পার্কে শিল্প স্থাপন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে উৎসাহিত করতে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামগত উন্নয়নসংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আর এই সুবিধা পেতে প্রতিষ্ঠাগুনলোকে পূরণ করতে হবে তিন শর্ত।
সম্প্রতি প্রায় একই ধরনের কর মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয় সরকারি ও বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ আমদানিতে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে ওই কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এনবিআরের একটি সূত্র প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, হাইটেক পার্কে শিল্পস্থাপনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে মূলধনী যন্ত্রপাতি বা যন্ত্রাংশ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট পণ্যাদি আমদানিতে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রমূলক শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দেশের যে কোনো হাইটেক পার্কের ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে।
১৯৬৯ সালের কাস্টমস আইন আইন, ১৯৯১ সালের মূসক আইন ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন ২০১০ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ আদেশ দেওয়া হয়।
সুবিধা পেতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে যে সবশর্ত পূরণ করতে হবে তা হলো- শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) নিবন্ধিত হতে হবে।
আমদানিকৃত যন্ত্রপাতি বা পণ্যাদি নাম এবং কোন শ্রেণির পণ্য আমদানি করা হবে ইত্যাদির বিবরণ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন নিতে হবে। অন্যথায় ঘোষণাকৃত সুবিধা পাওয়া যাবে না।
আর এ সুবিধা কেবলমাত্র মূলধনী যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট পণ্যাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অন্যান্য পণ্য যেমন- অফিসিয়াল পণ্য, এয়ারকন্ডিশনার, ফ্রিজ ও খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, হাইটেক পার্কে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানেই সত্যিকার মূল্য সংযোজন হবে। পৃথিবীর সকল দেশেই এ ধরনের কর সুবিধা দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে এক প্রজ্ঞাপনে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকৃত কোম্পানি এবং নিয়োগকৃত বিদেশি কর্মীদের ৫০ শতাংশ কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। কোম্পানিতে নিয়োগের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য তার অর্জিত আয়ের ওপর প্রদেয় করের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর হাইটেক পার্কের কাজ এগিয়ে চলছে। এ ছাড়া ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর ও বরিশালে আরো সাতটি হাইটেক পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
মন্তব্য চালু নেই