হরতাল ভোতা হাতিয়ার, ছাত্রলীগই সঠিক
রাজনীতিতে হরতালকে ভোতা হাতিয়ার বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। খালেদা-ফখরুল-তারেকের কথায় একই সুর দেখতে পাচ্ছেন তিনি। ছাত্রলীগ সঠিক পথে রয়েছে বলেও মত তার। আর আর বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে যেকোনো নেতার পরিণতি হবে গয়েশ্বর-আলালের এটাই তার ঘোষণা।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি সন্ত্রাস করতে চাইলে ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সন্ত্রাসের অস্তিত্ব রাখা হবে না। সন্ত্রাস করলে পরিণতি হবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কিংবা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের মতোই।
একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জোর দিয়ে বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগও মাঠে থাকবে।
অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে শুধু একজন গয়েশ্বর চন্দ্র বা একজন মোয়াজ্জেম হোসেন আলালই নয়, দলটির সকল গয়েশ্বর বা আলালকে একই ভাগ্য বরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম কিছুই হবে না। মাঠে নামার মতো গতি বা সাংগঠনিক সামর্থ বিএনপির নেই। বরং আমরা মাঠে থাকবো।
কামরুল বলেন, সাধারণ মানুষ যদি মাঠে নামে আমরা তাদের বাধা দেবো না। বিএনপি সাধারণ মানুষকে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারলে আমাদের কোনো কথা নেই। কিন্তু যদি সন্ত্রাস করে তাহলে সন্ত্রাস প্রতিহত করার সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ত্রাসের অস্তিত্ব রাখা হবে না, ঘোষণা কামরুলের।
তিনি বলেন, আন্দোলন মানে কি ২০১৩ সালের মতো আন্দোলন? ২০১৩ সালের মতো সন্ত্রাসের আন্দোলন আমরা করতে দেবো না।
বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেছে দলটি নেতারা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অ্যাডভোকেট কামরূল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার কোনো অধিকার আমাদের নেই। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, সন্ত্রাস করা, কুৎসিত কথা বলা, ইতিহাস বিকৃতি মেনে নেওয়া হবে না।
বিএনপি যখন ইতিহাস মানতে চায় না, ঐতিহাসিক সত্যকে বিদ্রুপ করে তখনই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়, বলেন কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের দৃষ্টিতে তারেক, খালেদা, ফখরুল কাউকেই আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। তাদের বাচনভঙ্গি আলাদা হতে পারে, কিন্তু তাদের কথার মুল সুর এক। এই ধরণের বক্তব্য তারা যত দিন পর্যন্ত প্রত্যাহার না করবে এবং সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে ফিরে না আসবে তত দিন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকবে।
গাজীপুরে বিএনপির সমাবেশ স্থলে ছাত্রলীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হলে কেউ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। এই পাল্টা সমাবেশ ডাকায় অনেকেই সমালোচনা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আমি বলবো ছাত্রলীগ যথা সময়ে সঠিক কাজই করেছে। তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো। যারা ছাত্র লীগের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে, সমালোচনা করে তাদের উচিত প্রথমে যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটুক্তি করে অমার্জনীয় অপরাধ করেছে তারে সমালোচনা করা। তারপর ছাত্র লীগের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলা।
বিএনপির সোমবারের হরতাল কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কামরুল বলেন, হরতাল ভোতা হাতিয়ার। এখন মানুষ আর হরতাল সমর্থন করে না। তারা হরতালের নামে যদি সন্ত্রাস করে তাহলে ভয়াবহ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সন্ত্রাসের পথে হাটলে একজন গয়েশ্বর রায় বা একজন আলালই নয়, সকল গয়েশ্বর রায় এবং আলালকে একই ভাগ্যবরণ করতে হবে।
[ বাংলানিউজের সৌজন্যে ]
মন্তব্য চালু নেই