হরতাল নেই রোববার

চলতি বছরের জানুয়ারির শেষদিক থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন করে হরতাল চালিয়ে আসা বিএনপি জোট আগামী রোববার দেশের কোথাও হরতাল রাখেনি। শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে রোববার হরতালের কথা বলা হয়নি।

বিবৃতিতে ৫ এপ্রিল রোববার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কথা বলা হয়েছে।

এরআগে ২ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিনেও হরতাল দেয়নি বিএনপি। তবে পরদিন ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরকে আওতামুক্ত রেখে হরতাল দেয় এই জোট।

রোববার হরতাল না থাকলেও ৬ জানুয়ারি থেকে চালিয়ে আসা অবরোধ চলবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কারণ হিসেবে বিবৃতিতে ‘বিএনপির অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ ২০ দলীয় জোটের গুমকৃত সকল বিরোধী নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় ফেরত দান, ২০ দলীয় জোটের কারান্তরীণ শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং গণগ্রেফতারসহ মামলা হামলা বন্ধ করে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি’র কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বুলু বলেন, ‘একদিকে আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন; অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অযাচিত বাড়াবাড়ী গোটা নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ, কলুষিত ও আতঙ্কিত করে তুলেছে। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় যেকোন নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকার নির্বাচন কমিশনের যেকোন পরামর্শ ও নির্দেশনা মানবে এটাই বিধান। কিন্তু ইসির নির্দেশ মানতে সংসদ সচিবালয় বাধ্য নয় মর্মে ইসিতে প্রেরিত চিঠি একদিকে যেমন নির্বাচন কমিশনকে বিস্মিত করেছে; অন্যদিকে সমগ্র দেশবাসীও হতাশ হয়েছে। সংসদ সচিবালয় কর্তৃক নির্বাচন কমিশনের প্রতি এহেন অসহযোগিতামূলক আচরণ নিঃসন্দেহে নির্বাচন কমিশনকে অবজ্ঞা করারই সামিল। সেক্ষেত্রে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন কতটুকু স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে পারবে তা এখন দেশবাসী দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।’

সারাদেশে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এতে করে বিরোধী প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের জান বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে, তাছাড়া তিন সিটি করোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের ভিন্ন মাত্রা অবলম্বন নির্বাচনে এক পক্ষকে বিজয়ী করার কৌশল হিসেবেই দেখছে দেশের সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ।’



মন্তব্য চালু নেই