হরতাল-অবরোধ নিয়ে দেওয়া রুলের পক্ষে স্থায়ী কমিটি
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল-অবরোধ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রুলের পক্ষে সম্মতি জানিয়েছে জাতীয় সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
একইসঙ্গে সরকারসহ অন্য পক্ষের তা প্রতিপালন করা উচিত বলেও মত দিয়ছেন কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিটির সভাপতি এ কথা জানান। এ সময় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও কমিটির সদস্য শামসুল হক টুকু উপস্থিত ছিলেন।
রুল সম্পর্কে জানতে চাইলে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, হাইকোর্টের সে এখতিয়ার রয়েছে। তারা তা করেছে। এ নিয়ে কথা বলার সময় হয়নি। এটা চূড়ান্ত হওয়ার পর আইন হবে। এসময় তিনি অন্যান্য দেশের উদাহরণ টেনে বলেন, পশ্চিমা অনেক দেশেই এসব আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতির জন্য মামলা হয়েছে। সেসব দেশের মামলার রায়ও হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করা এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে রোববার একটি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল-অবরোধ দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, হরতাল অবরোধ করা যেমন রাজনৈতিক অধিকার, পাশাপাশি নিজের অধিকার পালন করতে গিয়ে অন্যের অধিকার খর্ব করা যাবে না বলেও সংবিধানে বলা আছে। হরতাল-অবরোধ যারাই ডাক দেবেন যদি সেই কর্মসূচিতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয় তাহলে সে ক্ষতিপূরণ তাদেরই দিতে হবে।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কমিটি সদস্য শামসুল হক টুকু, মো. আব্দুল মজিদ খান, অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা এবং সফুরা বেগম অংশ নেন।
এসময় অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, নিবন্ধন পরিদপ্তরের আই.জি.আর. বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভণর, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের সিইওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দেশে প্রথমবারের মতো পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) বিল-২০১৫ আইনে পরিণত করার উদ্যেগ নিয়েছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি অংশদারিত্বে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে এই উদ্যেগ নেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব উন্নয়ন কাঠামোতে আইনী কাঠামো না থাকায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয় না। তাই আইনী কাঠামো করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ এসেছে ইতোমধ্যে পিপিপি বিল-২০১৫ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
বিলটি যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি পাস করা হলে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব উন্নয়ন কাঠামো আরো গতি পাবে এবং নতুন মাত্রা যোগ হবে।
মন্তব্য চালু নেই