হরতালে জবিতে ক্লাস-পরিক্ষা বন্ধ, সেশনজটের আশংকা শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশের একমাত্র অনাবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে(জবি) হরতাল-অবরোধের কারনে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। অবরোধে জবিতে কোন কোন বিভাগে ক্লাস-পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও হরতালে বন্ধ থাকছে বিভাগগুলি। চরম সেশনজটের আশংকা শিক্ষার্থীদের। জবির শিক্ষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে আমরা পাঠদান করতে পারছিনা। সেশন জটের আশংকা বেড়েই যাচ্ছে।

২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ-হরতালে চরম প্রভাব পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে। রাজধানীতে বৃহস্পতিবার হরতালের দিনে সরেজমিনে জবির বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে কোন কোন বিভাগে অফিসিয়াল কার্যক্রম চললেও ক্লাস হচ্ছে না। ক্যাম্পাসের ভেতরে পার্কিং করে রাখা জবির গাড়ীগুলো। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন শিক্ষার্থী বসে বাদাম খাচ্ছে।

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, প্রায় একমাস ধরে অবরোধ-হরতালের কারনে তাদের ক্লাস বন্ধ। অবরোধ থাকলেও মাঝে মাঝে ক্লাস হচ্ছে কিন্তু হরতালে ক্লাস বন্ধ থাকছে। সেশন জটের আশংকা আমাদের। সব বিভাগে শনি-শুক্রবারে ক্লাস চালু করা উচিৎ।

এদিকে কিছুদিন আগে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘অবরোধ-হরতালে জবি’র ক্লাস-পরিক্ষা বন্ধ হবে না। যার ইচ্ছা হবে সে ক্লাসে আসবে, যার ইচ্ছা না হবে সে আসবে না’।

জবি’র একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ জুই বলেন, কিছু দিন হলো আমাদের ক্লাস সাসপেন্ড হয়েছে কারন সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা ঠিকসময়ে অনুষ্টিত হবে কিনা বুঝতে পারছিনা। হরতালে কোন ক্লাস হয় না আমাদের।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর ড. কাজী শাহেদুল হালীম বলেন, কোন দেশে যদি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয় সেই দেশে রাজনৈতিক দলও ধ্বংস হয়। হরতালকারীরা যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হরতাল মুক্ত রাখে তাহলে আমরা নিয়মিত ক্লাস নিতে পারবো। শনি-শুক্রবারে ক্লাস চালু করলেও সেশনজট থেকে কিছুটা উত্তোরণ পাওয়া সম্ভব।

জবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা অন্তত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বড় বাধা। হরতালে বা অবরোধের কারনে জবির পাশেই অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরিক্ষা নিতে কোন সমস্যাই হচ্ছে না। কারনটা হচ্ছে তাদের আবাসিক ব্যবস্থা আছে আমাদের নাই’। জবির শিক্ষার্থীদের সেশনজেটের আশংকা থেকে মুক্তি পেতে এই মূহুর্তে নিজেরদের কি করণীয় আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা শনি-শুক্রবার সহ যেদিন হরতাল বা অবরোধ থাকবে না সেদিন বেশি বেশি ক্লাস নেবার আহ্বান করবো বিভাগের শিক্ষকদের’।



মন্তব্য চালু নেই