‘হরতালের বারোটা বাজিয়েছেন খালেদা’
![](https://archive1.ournewsbd.net/wp-content/uploads/2015/02/Mosaraf.jpg)
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আসলে খালেদা হরতালের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। হরতাল ডাকেন তারা আর রাস্তায় থাকি আমরা। এখন আমরা হরতাল ডাকলেও মানুষ মানবে না। আন্দোলনের জন্য এখন আমাদের নতুন পন্থা খুঁজতে হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সোমবার বিকেলে ড. ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার ৭৩তম জন্মদিন ড. ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়ালের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতালে আরও বেশি যানজট লেগে থাকে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘হরতাল ডেকে বিএনপির কোন নেতাকর্মী মাঠে নেই। খালেদা কিসের আন্দোলন করছেন মাথায় ধরে না। এখন খালেদার বোধোদয়ের জন্য পীর-ফকির ডেকে দোয়া করাতে হবে।’
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মানুষ হত্যা পৃথিবীর কোথাও নেই, বাংলাদেশেই সম্ভব মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরাও আন্দোলন করেছি। আমরাও পুলিশের মার খেয়েছি, কিন্তু রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াইনি। আমাদের নেতারা তাদের মতো ‘ধর’ বললেই দৌড় মারে নাই।’
ওয়াজেদ মিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিনি ছিলেন বিজ্ঞান মনষ্ক একজন গুণী ব্যক্তি। কথাবার্তায় কখনই উগ্রতা ছিলো না। তার যুক্তিসংগত মানসিকতা সকল ক্রিয়াকর্মেই প্রতিফলিত হয়েছে।’
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা মাঠে নেই আছে সন্ত্রাসীরা। এমন মানুষ হত্যার আন্দোলন আমি এর আগে কখনও দেখিনি।’
পৃথিবীতে একটি দৃষ্টান্ত নেই সন্ত্রাসী, হত্যাকারীদের সাথে সংলাপ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসের সাথে কোন সংলাপ হবে না। কারণ, এর পরে যে-ই সরকারের বাইরে থাকবে সে-ই সন্ত্রাস ভাড়া করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে।’
ওয়াজেদ মিয়া জ্ঞানী মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসের আগুনে মানুষ দগ্ধ হয় কিন্তু জ্ঞানের আগুনে মানুষ বিদগ্ধ হয়। আমরা সন্ত্রাসের আগুনের বিরোধিতা করি আর জ্ঞানের আগুনে মানুষকে পুড়িয়ে যেতে চাই।’
অনুষ্ঠানে মেমোরিয়ালের পক্ষ থেকে ৭ জনকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। সেরা অভিনেতা হিসেবে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, শ্রেষ্ঠ সমাজসেবক হিসেবে কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সেরা শিক্ষানুরাগী (মরণোত্তর) মরহুম কাজী মাহবুব উল্লাহ, সেরা শিক্ষিকা ড. এম এস আনোয়ারা বেগম, সফল পরমাণু বিজ্ঞানী ড. কানাইলাল চক্রবর্তী, সফল কথাশিল্পী হিসেবে সৈয়দা ফরিদা রহমান এ পদক পেয়েছেন।
এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে ড. ওয়াজেদ মিয়াকে জাতীয় বিজ্ঞানী হিসেবে ঘোষণা, তার নামে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা, গরীব মেধাবীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য ট্রাস্ট গঠনের দাবি জানানো হয়।
আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ভাষাসৈনিক ও পরমাণুবিজ্ঞানী ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. শাহিনুর রহমান, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ কে এম ফরহাদুল কবীর প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই