হতাশায় সালাহ উদ্দিনের পরিবার

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ‘নিখোঁজ’ সালাহউদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে তার পরিবার।

সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাক্ষাতের জন্য আমি আবেদন জানিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি। যতদিন যাচ্ছে, আমার ছেলে-মেয়েরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।’

বুধবার বিকালে ফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশনস সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহমর্মিতা জানাতে আসলে সাংবাদিকদের কাছে এই হতাশার কথা জানান তিনি।

এদিন বিকাল ৫টার দিকে গুলশানের ৭২ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর প্লাটিনাম রেসিডেন্সে সালাহ উদ্দিনের ফ্ল্যাটে গিয়ে পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে আসেন সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।

আবেগ আপ্লুত কন্ঠে সালাহ উদ্দিন পত্নী বলেন, ‘আমরা স্বামী ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ। কোথায় আছেন, কিভাবে আছেন-কিছুই আমি জানি না। বহু জায়গায় চেষ্টা করছি-কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা পাচ্ছি না।

‘আমি শতভাগ নিশ্চিত আমার স্বামী সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবারো বিনীত আবেদন জানাচ্ছি-আমার স্বামীকে জনসম্মুখে হাজির করতে তিনি যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন।’

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন মানবাধিকার ব্যুরোর প্রাক্তন বিচারপতি আবু কাউসার মো. দবিরুশ্বান, হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট ফর লোকাল সোসাইটির অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলফাজ আহমেদ, মানবাধিকার পর্যবেক্ষনের নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী, মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদের গোলাম রহমান ভুঁইয়া, মানবাধিকার কাউন্সিলের ফরিদ উদ্দিন ফরিদ, সিএইচআরএমের মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ, নাগরিক অধিকারের স্বাধীনতার আজমেরী বেগম ছন্দা প্রমূখ।

গত ১০ মার্চ সালাহ উদ্দিনের অন্তর্ধানের পর থেকে তার পরিবার ও বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, গোয়েন্দা পুলিশই তাকে তুলে নিয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে গেছে দাবি করে তাকে ফেরত দেওয়া না হলে সরকারের ‘কঠিন পরিণতি’ হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সালাহ উদ্দিনের সন্ধান পেতে সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ইতোমধ্যে স্মারকলিপি দিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা। সালাহউদ্দিনের খোঁজ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদনও করেছেন তার স্ত্রী হাসিনা। এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল হাই কোর্টে আবার শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই