হঠাৎ এমন পোশাক কেন পরতে গেলেন রণবীর? টুইটারেই বা কী লেখা হল?
‘বেফিকরে’ ছবিতে লাল অন্তর্বাস পরে বহু মানুষের সমালোচনা কুড়িয়েছেন। আবার হঠাৎ কী হল তাঁর? এমন পোশাক কেন পরতে গেলেন রণবীর সিং?
রণবীর সিং যে কখন কী করে বসেন, তার কোনও ঠিক-ঠিকানা নেই। তিনি অত্যন্ত প্রতিভাময় ও বলিষ্ঠ অভিনেতা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। হয়তো সেই জন্যই ওঁর ভাবনাচিন্তা ঠিক বাঁধা গতে থাকে না। পোশাক নিয়ে বহুদিন ধরেই নানা এক্সপেরিমেন্ট করে চলেছেন। তিনি মনে করেন পোশাকের ব্যাপারে ছেলে-মেয়ে-ভারতীয়-তাহিতিয়ান বলে কিছু ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। তাঁর মতে, পোশাক হল গ্লোবাল। আর এই পোশাক মেয়েদের আর ওই পোশাক ছেলেদের, এমনটা হওয়া একেবারেই উচিত নয়।
এই ধরনের ভাবনাচিন্তা এই প্রথম নয়। হলিউডের তারকাদের মধ্যে অনেকেই পোশাকের ক্ষেত্রে জেন্ডার ফ্লুইড। সেই আন্তর্জাতিক ট্রেন্ডই অনুসরণ করেন রণবীর। সেটা হজম করা এদেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে একটু কষ্টকর। তা সত্ত্বেও বছরখানেক আগে ‘বাজিরাও মস্তানি’-র প্রোমোশনের সময় স্কার্ট পরা রণবীরকে দেখে ততটাও আশ্চর্য হননি ভারতীয়রা। কিন্তু রণবীর এবার যা পরলেন তা দেখে দেশসুদ্ধ মানুষের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
প্রথম কথা হল পোশাকটি ওভারসাইজড। দ্বিতীয়ত, পোশাকের অঙ্গ হিসেবে রণবীর দু’খানা হাতমোজা পরেছেন যা দেখতে বেশ বিদঘুটে। তৃতীয়ত, এই হাড় জমানো ঠান্ডায় এমন ধরনের আউটফিটের কি কোনও মানে হয়? এই পোশাকটি পরে মুম্বইয়ের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন রণবীর। অর্থাৎ একেবারে ভেবেচিন্তে, নিজের ইচ্ছেতেই এই পোশাকে সেজেছেন তিনি। এটা জেনেই পরেছেন যে এর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবে তাঁর ছবি।
তবে কি এটা জাস্ট একটা পাবলিসিটি স্টান্ট? নাকি রণবীর এদেশের নব্য যুবকদের এক নতুন ধরনের ‘বিজার’ স্টাইল স্টেটমেন্ট দিতে চান? সে প্রশ্নের উত্তর রণবীর দিতে বাধ্য নন। তবে খুব স্বাভাবিকভাবেই টুইটারে প্রবলভাবে খিল্লি হয়েছেন তিনি। যাঁরা সমালোচনা করেছেন সেই তালিকায় এমনকী চেতন ভগৎও রয়েছেন।-এবেলা
মন্তব্য চালু নেই