হজে যাওয়ার পূর্বে কী করবেন হাজিরা
হজ প্রত্যেক শারীরিক ও আর্থিক সামর্থবানদের ওপর ফরজ ইবাদাত। আর প্রত্যেক মুসলমানের জীবনের সর্বোচ্চ আশা-আকাংঙ্খার কেন্দ্রবিন্দুও হজ। তাই প্রত্যেক মুসলমান জীবনে একবার হলেও পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থিত বাইতুল্লাহ ও হৃদয়ের স্পন্দন নবির শহর মদিনায় যাওয়ার আশা পোষণ করে। হজের অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পন্ন করে যাদের হজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তাদের আরো কিছু তথ্য দেশে থাকতেই জেনে নেয়া দরকার। হজে গমনকারীদের সুবিধার্থে যার কিছু তথ্য আওয়ার নিউজ বিডিতে তুলে ধরা হলো-
হজে রওনা হওয়ার পূর্বে করণীয়-
১. সরকারি বা বেসরকারিভাবে যারা হজে যাবেন, হজ এজেন্সি বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা।
২. বেসরকারিভাবে যাওয়া হাজিদের জন্য মক্কা-মদিনা মূল স্থান থেকে বাসস্থানের দূরত্ব এবং বাসস্থান থেকে বাইতুল্লাহ এবং রওজায় আসার পথ এবং সুবিধাদি দেশ থেকেই জেনে নেয়া জরুরি।
৩. হজে গমনকারীদের হজ কার্যক্রম সম্পন্ন করাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুয়াল্লিম যাবে কিনা, যিনি মুয়াল্লিম তিনি আলিম কিনা তা নিশ্চিত করা। কারণ, হজে সহযোগিতাকারী মুয়াল্লিম অভিজ্ঞ বা আলিম না হলে হাজিগণ সঠিকভাবে হজ সম্পন্ন করতে পারবে না।
৪. হজের নিয়তকারী প্রত্যেকেই আল্লাহর মেহমান। সুতরাং হজে মুয়াল্লিমের ওপর সম্পূর্ণ ভরসা না করে দেশে থাকতেই হজের নিয়ম-কানুন শিখে নেয়া প্রত্যেকের জন্য জরুরি।
৫. হজের সফরে রওয়া হওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় বই এবং মোবাইল অ্যাপস সংগ্রহ করা জরুরি। হজ এজেন্সি এবং সরকারিভাবে বই এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সুতরাং যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
৬. হজে সফরকে জীবনের শেষ সফর মনে করে নিজের মন মানসিকতা সেভাবে তৈরি করা। বয়স্ক হাজিদের জন্য হজের বই বা গাইড নিজের সংরক্ষণে রাখা।
৭. হজে রওনা হওয়ার পূর্বে দেশের পরিচয়পত্র, মোয়াল্লেম কার্ড, হোটেলের কার্ড, কব্জি বেল্ট এবং কোমর বেল্ট, ইহরামের কাপড় ইত্যাদি সংগ্রহ করা। এবং এগুলো ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেয়া।
৮. বিমানে ওঠার আগে থেকেই আপনার হ্যান্ড ব্যাগে পাতলা জায়নামাজ এবং স্প্রে করা যায় এমন পানির বোতল সবসময় সঙ্গে রাখা। যাতে সহজে ওজু এবং নামাজ আদায় করা যায়।
৯. প্রয়োজনীয় লাগেজ বা ব্যাগের গাঁয়ে বাংলাদেশের পতাকার ছাপ, বাংলা, ইংরেজি ও আরবিতে নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোয়াল্লেম নম্বর চোখে পড়ার মতো মার্কার দিয়ে লিখা এবং রশি, টেপ, ড্রাই মার্কার পেন, সুঁই-সুতা সঙ্গে রাখা।
১০. হাত বেল্ট বা কোমর বেল্টে বহনযোগ্য ছোট একটি ফোন বুকে জরুরি প্রয়োজনীয় মোবাইল নাম্বারগুলো সংগ্রহ করে রাখা। যাতে সমস্যা বা বিপদে-আপদে সহযোগিতা নেয়া যায়। তা দেশে হোক আর মক্কা-মদিনায় হোক।
১১. এখন থেকেই হাঁটা-হাঁটি ও নিয়মিত ব্যয়ামের মাধ্যমে নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সুদৃঢ় করার চেষ্টা করা।
সুতরাং সময় বেশি বাকি নেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই হজের কার্যক্রম শুরু হবে। কোনো সমস্যা না হলে ৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকেই হাজিদের নিয়ে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে।
হাজি সাহেবগণ যাতে সুন্দরভাবে হজের প্রস্তুতি নিতে পারেন। আল্লাহ তাআলা সকল মুসলমানের হজকে কবুল করেন এ কামনার পাশাপাশি সবাইকে প্রয়োজনীয় বিষয়াদিগুলো সুন্দর প্রস্তুতি গ্রহণ করে সঠিকভাবে হজ সম্পাদন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য চালু নেই