সৎ মায়ের হাত-পায়ের রগ কাটলেন ছাত্রলীগকর্মী
ঠাকুরগাঁও সদরে চাপাতি দিয়ে সৎ মায়ের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। হামলার শিকার আনোয়ারা বেগমকে (৩৫) মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার রুহিয়া থানা এলাকার ঘনিমহেশপুর গ্রামে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মী হারুন অর রশিদকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১ম স্ত্রী হাসিনার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলাম ১০-১২ দিন আগে আনোয়ারা বেগমকে বিয়ে করেন। এ বিয়েতে ১ম স্ত্রী ও সন্তানেরা আপত্তি জানালে সাদেকুল ইসলাম ২য় স্ত্রীর জন্য প্রায় ২০০ গজ দূরে অপর একটি বাড়ি তৈরি করে দেন। শনিবার রাতে সাদেকুল স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে নিয়ে নতুন বাড়িতে ওঠেন। এ কথা জানতে পেরে সাদেকুলের ১ম স্ত্রী ও সন্তানেরা ওই বাড়িতে হানা দেয়। রোববার সকালে ছাত্রলীগকর্মী হারুন অর রশিদ ধারালো চাপাতি দিয়ে তার সৎ মাকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। আনোয়ারা মাটিতে পড়ে গেলে হারুন তার দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার পারভেজ পুলক জানান, হারুন অর রশিদ আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও বর্তমানে সে ছাত্রলীগে সক্রিয় নেই।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফরহাত আহম্মেদ নির্দেশে রুহিয়া থানা পুলিশ হারুন অর রশিদকে আটক করেছে।
মন্তব্য চালু নেই