স্মার্টফোন চলবে এবার ট্যাটু দিয়ে

স্মার্টফোন চলবে এবার ট্যাটুর সাহায্যে। নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার সঙ্গে জেন ওয়াই একইসঙ্গে প্রবলভাবে গ্যাজেটমুখী। তাই ফ্যাশনের সঙ্গে এবার প্রযুক্তিকে মিশিয়ে ‘ট্যাটি’ তৈরিতে মাইক্রোসফট।

জেন এক্স কিংবা জেন ওয়াই ট্যাটুর ভক্ত। কম-বেশি সবার শরীরে মোটামুটি এই বস্তুটি আজকাল দেখা যায়। ত্বকের উপরে বিশেষ কালির প্রয়োগে সৃষ্টি হয় নানা ধরণের চিহ্ন বা অক্ষর, যে যেমনটি চান। যা থেকে যাবে আমরণ আপনার সঙ্গে। কিন্তু ‘ট্যাটি’ ব্যাপারটি কী? আসুন জেনে নিই।

ট্যাটুতে প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা দিতে ময়দানে নেমে পড়েছেন মাইক্রোসফট আর এমআইটি অর্থাৎ ‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ গবেষক-দল। ফ্যাশন আর প্রযুক্তির মেলবন্ধনে নতুন প্রকল্প ‘ট্যাটি’। এমআইটি মিডিয়া ল্যাব-এ পরীক্ষামূলক ভাবে বেশ কয়েকটি এমন ট্যাটুও তৈরি হয়ে গিয়েছে ‘মাইক্রোসফট রিসার্চ’-এর সহায়তায়।

‘ট্যাটিও’ কোনও কালি বা ‘ইঙ্ক’ প্রয়োগে তৈরি হয় না। এর উপাদান হিসেবে রয়েছে কনডাকটিভ ফ্যাব্রিক টেপ, পাতলা তার আর ধাতব পাত। সফটওয়্যার মারফত এই ট্যাটুর ডিজাইন তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। তারপর তা ধাতব পাতে ফেলে কেটে নেওয়া৷ যার মধ্যেই বসানো (প্লান্ট) থাকবে সেন্সর৷ সহজ কথায় এই হল ট্যাটিও প্রকল্পের নয়া ট্যাটু ‘ডুওস্কিন’ তৈরির সাধারণ প্রক্রিয়া৷ এবার এই ট্যাটুতে হাত বুলিয়ে বা স্পর্শ করে আপনি স্মার্টফোন বা ট্যাব চালাতে পারবেন৷। জানতে পারবেন তাপমাত্রা।

তবে এখানেই শেষ নয় ‘ট্যাটি’র গুনাগুণ। অ্যাথেলিট কিংবা যাঁরা হেলথ ফ্রিক, অতি স্বাস্থ্য-সচেতন, তাঁরা কার্যত এই ‘প্রযুক্তি ট্যাটু’কে ব্যবহার করতে পারবেন হেলথ কিংবা স্পোর্টস অ্যাপ হিসেবেও। মাইক্রোসফট আর এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের গবেষকরা বলছেন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নয়া প্রজন্মের অলঙ্কারও তৈরি করা সম্ভব৷ যেখানে বসানো থাকবে এলইডি আলো কিংবা পছন্দসই কোনও সেন্সর৷

ফ্যাশনিস্তা থেকে কলেজ পড়ুয়ারা এখন সাবই যে এটা লুফে নেবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু মাত্র প্রযুক্তি বাজারে আসতে দেরি।



মন্তব্য চালু নেই