স্মার্টফোনের সঠিক চার্জিং অভ্যাস
ফারিন সুমাইয়া : স্মার্ট ফোনে দীর্ঘক্ষণ চার্জ থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে প্রায় সবারই। আমাদের হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোনটি প্রায় সময়ই গরম হয়ে যায়। আর তাতে কমতে থাকে চার্জ। পথেঘাটে কিংবা কর্মস্থলে সবসময় তো আর ফোনে চার্জ দেয়া সম্ভব নয়। তাই এই চার্জ না থাকা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় অনেক সময়ই। তবে ব্যাটারি চার্জের সঠিক নিয়ম জানা থাকলে এর বিড়ম্বনা কিছুটা কমবে।
ব্যাটারির বিশেষ যত্ন নেয়ার প্রথম ধাপ হলো ব্যাটারির চার্জিং অভ্যাস ঠিক করা। কখনোই ব্যাটারিকে ০% ডিসচার্জ করা উচিৎ নয়। এমনটাও করা যাবে না যে, আপনি ব্যাটারি প্রতিদিন ০% ডিসচার্জ করছেন তারপর আবার ১০০% চার্জ করছেন। কিংবা সারাদিন ফোন ব্যবহার করতে করতে ১০০% থেকে ০% ডিসচার্জ করে ফেললেন। তাহলে সঠিক উপায় কি? জ্বী, সঠিক উপায় হলো দিনে একাধিকবার স্মার্টফোন ব্যাটারি রিচার্জ করা। মনে করুন আপনি ২০% এর পরে চার্জ করা শুরু করলেন এবং ৭০% বা ৮০% পর্যন্ত চার্জ করলেন। আবার চার্জ ২০% বা ১৫% এ নেমে আসলো তারপর পুনরায় চার্জে দিলেন।
আরেকটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, অন্তত মাসে একবার বা ২০-২৫ দিনে একবার আপনার ফোনের ব্যাটারি ০% ডিসচার্জ করে ১০০% চার্জ করতে হবে। ব্যাটারির ভেতর অবস্থিত সেলগুলো বারবার চার্জ এবং ডিসচার্জ হওয়ার ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে। আপনি যদি একমাসের ভেতর একবার পুরো ডিসচার্জ করে রিচার্জ করেন তবে সেলগুলো আগের ক্ষমতা ফেরত পেয়ে যায়।
প্রতিটি ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট জীবনচক্র বা লাইফ সাইকেল থাকে। সেটা স্মার্টফোন ব্যাটারি হোক আর ল্যাপটপ ব্যাটারি হোক কিংবা আপনার ট্যাবলেট-এর ব্যাটারি হোক। সাধারণত একটি ফোনের ব্যাটারিতে ১০০০ লাইফ সাইকেল থাকে। ১০০০ লাইফ সাইকেল থাকার মানে হচ্ছে এই ব্যাটারিটি ১০০০ বার ডিসচার্জ এবং চার্জ হতে পারবে। এমনটা নয় যে ১০০০ লাইফ সাইকেল পার হয়ে যাবার পরে ব্যাটারিটি কাজ করা বন্ধ করে দেবে। এমনটা হতে পারে যে আগে যে চার্জ সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতো তা এখন বেলা ১ টা পর্যন্ত থাকছে। ১০০০ লাইফ সাইকেল এর দিকে লক্ষ করলে, একটি ব্যাটারির আয়ু প্রায় ৩ বছরের মতো।
মন্তব্য চালু নেই