‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ পাচ্ছেন নায়ক রাজ রাজ্জাক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে এবং জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ পাচ্ছেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অাটজন গ্রহণ করেবন এ বছর ।

৪ মার্চ এ বছরের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম চূড়ান্ত করে সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এস এম কিবরিয়া, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, প্রথিতযশা সাংবাদিক প্রয়াত সন্তোষ গুপ্ত, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা পালনকারী মরহুম কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মামুন মাহমুদ, মোজাফফর আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিউটের সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন মণ্ডল এবং দেশের সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুর রাজ্জাক, এদেশের মানুষের কাছে যিনি ‘নায়ক রাজ রাজ্জাক’।

২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস সামনে রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রতিবছর এ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মার্চ ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করবেন।

পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা একটি করে সোনার পদক এবং একটি সম্মাননাসূচক প্রত্যয়নপত্র পাবেন। এর সঙ্গে নগদ পুরস্কার হিসাবে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতার টালিগঞ্জে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই মহান অভিনেতা। বাবা আকবর হোসেন ও মা মিরারুন্নেসার কনিষ্ঠ সন্তান আব্দুর রাজ্জাক। তার অভিনয় জীবনের শুরুটা কলকাতার মঞ্চ নাটক থেকে হয়।

তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘তেরো নাম্বার ফেকু অস্তাগড় লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। পরবর্তীতে ‌’কার বউ’, ‘ডাক বাবু’, ‘আখেরী স্টেশন’সহ আরও বেশ ক’টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। জাতীয় চলচ্চিত্র আজীবন সম্মাননা পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননাসহ অর্জন করেন অসংখ্য সম্মাননা।এছাড়াাও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই