স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লেই ধর্ষণের যে লজ্জাজনক নগ্ন খেলায় মেতে উঠত স্বামী
ঘুমন্তবস্থায় স্ত্রীকে ১ হাজার বার ধর্ষণ করে ৩১৬টি পর্ন ভিডিও বানিয়েছেন এক স্বামী।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান অনলাইন এমন সংবাদটি প্রকাশ করে জানায়, নিজের স্বামীর হাতে ১ হাজার বার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই নারী। যা স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মাধ্যমে ধর্ষণের স্বরণকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
স্ত্রী সারাহ টেটলি (২৬) ও স্বামী চার্লি (৩৪)। দুজনে যুক্তরাজ্যের মোবওয়ে অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। ২০১১ সালে দীর্ঘ ছয় বছর প্রেমের অবসান ঘটিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এ যুগল।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানায়, প্রতিদিন রাতে ওই নারীর স্বামী তার সজ্জাসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে ঘুমাতো। স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে স্বামী তাকে ধর্ষণের নগ্ন খেলায় মেতে উঠত।
আর সে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ক্যামরায় ধারণ করতো। এভাবে নিজের স্ত্রীকে ঘুমের মধ্যে অন্তত ১ হাজার বার ধর্ষণ করে আনুমানিক ৩০০ পর্ন ভিডিও ক্যামরা বন্দি করেছেন।
এ বিষয়ে স্ত্রী সারা বলেন, ‘বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি যে এমন নয়, আমি বুঝতাম। কিন্তু সেটি আমার কাছে প্রথম প্রথম স্বাভাবিকই মনে হয়েছিলো।
কিন্তু একদিন আমি হঠাৎ আমার শরীরের বিশেষ অংশে ব্যথা অনুভব করি আর সে বিষয়টি তার (চার্লি) কাছে জানতে চাই। কিন্তু সে বিষয়টি আমার কাছে অস্বীকার করে এবং সম্পূর্ণ বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এতে তার প্রতি আমার একটা সন্দেহ কাজ করে।
‘পরে কোনো এক রাতে আমার ঘুম পাচ্ছিল না। আর ওই সময় সে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ঘুমের ঘরে আমি তীব্র ব্যথা অনুভব করলে ঘুম ভেঙে যায়। জেগে দেখি সে আমার ওপর অত্যাচার করছে আর সেটিকে ভিডিও করছে।
তাৎক্ষণিকভাবে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। এ বিষয়ে আমি কাউকে কিছুই বলতে পারিনি’ বলেন স্ত্রী সারা।
তিনি বলেন, ক্যামরায় এ দৃশ্যধারণের বিষয়টি আমাকে এতোটাই হতাশ করেছে যে আমি সত্যিই স্তব্ধ হয়ে যাই।
পরে সারা এ বিষয়টি মেল্টনের এক প্রতিবেশির সঙ্গে শেয়ার করে এবং এ ঘটনার বিস্তারিত জানান ওই প্রতিবেশিকে। পরে ওই প্রতিবেশি তাকে এ বিষয়ে একটা পরামর্শ দেন।
সারাহ জানান, ওই প্রতিবেশির সহয়তায় বিষয়টি আমি পুলিশকে জানাতে সাহস ও উৎসাহ পেয়েছি। ওনি আমাকে যথেষ্ট সহয়তা করেছেন।
এদিকে, স্ত্রী সারাহের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তল্লাসি করে অন্তত ৩১৬টি পর্ন ভিডিও উদ্ধার করে। একইসঙ্গে ভিডিও তৈরি করার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে ওই স্বামীকেও আটক করে।
এ বিষয়ে সারাহ আক্ষেপ করে বলেন, আমি ভাবতেই পারিনি সে আমার সঙ্গে এ এরকম কাজটি করবে। বিষয়টি প্রথমে আমি স্বাভাবিকভাবে ধরে নিলেও পরে ধীরে ধীরে বিষয়টি আমার কাছে পরিস্কার হয়ে যায়।
‘আমি আমার ওই সময়ের কথাগুলো শেয়ার করার কাউকে পাইনি। তাই তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। অনেকটা বিষণ্নতা অনুভব করছি বিধায় তার কাজের বাধা দিতে পারিনি। তাই ওই প্রতিবেশির সহয়তা নিহে হয়েছে’ বলেন সারাহ।
দীর্ঘ ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে সুখের সংসার পেতেছিলো এ যুগল। কিন্তু প্রেমিকের ভেতরের অমানবিকা আর রুগ্ন আচরণ সেই প্রেমকে দুই বছরের মাথায় ঘৃণা আর হিংসায় নি:শেষ করে দিলো।
অবশ্য ওই নামধারী স্বামীর ওপর স্ত্রী সারাহের ক্ষোভ এখনো কমেনি। দুজন দূরে থাকলেও ঘৃণার মাত্রাটা সারাহের অনেক অনেক বেশি বলেও জানান সারাহ।
অবশ্য সারাহ এখন একা, খুব ভালো আছেন, বন্ধুদের সঙ্গে খুশিতে কাটছে সারাহের দিন জানিয়েছেন সারা নিজেই।
মন্তব্য চালু নেই