স্ত্রী ও সন্তানকে কেন কোপালেন স্বামী? উত্তর জানলে অবাক হবেন

সন্দেহের বশ একেই বলে। না হলে ফোনে কথার জন্য স্ত্রীকে কেউ কোপ মারতে পারেন! এমনকী, স্ত্রীর-র সঙ্গে সন্তানকেও বটির কোপ মেরেছেন কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা এলাকার নিত্যানন্দপুরের বাসিন্দা মনোজিৎ পোদ্দার। স্ত্রী ও পুত্রকে কোপ মারার পর নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন মনোজিৎ।

জানা গিয়েছে, মোবাইলে ফোনে জয়ন্তী পোদ্দার বেশি কথা বলতেন। এই নিয়ে আপত্তি ছিল স্বামী মনোজিৎ-এর। বিষয়টি তিনি পছন্দ করতেন না। স্ত্রী-র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন তিনি। প্রায়শই স্ত্রী জয়ন্তীর সঙ্গে মনোজিৎ ঝগড়া করতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

মঙ্গলবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একপ্রস্থ ঝগড়া হয়। মনোজিৎ পেশায় হকারের কাজ করেন। বুধবার ভোরে রান্নাঘর থেকে বটি এনে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী জয়ন্তী গলায় এবং মাথায় কোপ বসাতে থাকেন মনোজিৎ। এমনকী পাশে ঘুমিয়ে থাকা বছর বারোর পুত্র সনাতনকেও গলায় কোপ মারেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় জয়ন্তী এবং সনাতন চিৎকার করে সাহায্য চাইতে থাকেন।

চিৎকার চেঁচামেচি শুনে মনোজিৎ বাড়ির লোকজনও ছুটে আসে। প্রতিবেশীদের সাহায্যে মনোজিৎ-এর স্ত্রী এবং পুত্রকে কৃষ্ণনগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই সুযোগে একটি ঘরে মনোজিৎ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।
আপাতত মনোজিৎ এবং তাঁর স্ত্রী ও পুত্রের একই সঙ্গে কৃষ্ণনগর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই