স্ত্রীকে চমকে দেয়ার বিশেষ কৌশল এখন আপনার হাতে!

যেনব পুরুষেরা কাজ শেষে খালি হাত নিয়ে ঘরে ফেরেন, তাদের জন্য একটি সাধারণ অথচ দারুণ কার্যকর উপায়কে নতুন করে তুলে ধরেছেন একদল গবেষক। তবে এ পদ্ধতি নারীদের জন্য কার্যকর নয় বলেও তারা জানিয়ে দিয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন এ প্রক্রিয়ার প্রধান বিষয় হলো বাড়িতে ফেরার সময় প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরা। এতে স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের উপর খুশি হয়ে থাকেন। এছাড়া পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্মানও এতে বৃদ্ধি পায়।
অসংখ্য পুরুষই বাড়িতে ফেরার সময় দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আসতে ভুলে যান। অনেকে দোকানে গিয়েও খুঁজে পান না যে, ঠিক কোন জিনিসটি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একটি সহজ সমাধান দিয়েছেন গবেষকরা। এ বিষয়টি বহুদিন ধরে প্রচলিত হলেও গুরুত্ব অনেকেই ভুলে যান।
‘বাজারের সঠিক তালিকা তৈরি করে স্মার্টফোনে বা হাতের কাছে রাখুন’ গবেষকরা বলছেন, বাজারের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে ঢোকার সময় সঠিক বাজারটি যেন হাতে থাকে। ভালো সম্পর্ক চাইলে এ বিষয়টি কখনোই অবজ্ঞা করা উচিত নয়।
এ কারণে গবেষকদের পরামর্শ ঠিক কোন জিনিস বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় তা নিয়মিত নোট করতে হবে। এটি স্মার্টফোনে বা সাধারণ কাগজেও করা যায়। এরপর তা হাতের কাছে রাখতে হবে এবং বাড়িতে ফেরার সময় বাজারটি কিনে নিয়ে বাড়ির দিকে আসতে হবে।
এ বিষয়টি জানার জন্য গবেষকরা ৭০০ অংশগ্রহণকারীর ওপর অনুসন্ধান চালিয়েছেন। এতে তারা ১০ থেকে ২০টি ফলমূল ও সবজির তালিকা অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর তাদের বাড়িতে খালি হাতে ফেরা ও এসব জিনিস নিয়ে ফেরার তুলনা করেন। এতে দেখা যায়, বাড়িতে ফেরার সময় জিনিস কেনার ক্ষেত্রে তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে শুধু স্মৃতিশক্তির ওপর নির্ভর করে বাজার করা খুব একটা কার্যকর হয় না। কারণ অনেকেই নির্দিষ্ট কোনো জিনিস কেনার কথা ভুলে যান। অনেকে আবার অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনলেও সঠিক জিনিসটি কিনতে ব্যর্থ হন।
আর তাই তালিকা তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি না থাকলে বহু জিনিসই কেনা হয় না। আবার বহু ভুল জিনিস কেনা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে গবেষকদের একজন ড্যানিয়েল ফার্নান্দেজ। তিনি ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব পর্তুগালের গবেষক। এ বিষয়ে ফার্নান্দেজ বলেন, ‘সাধারণ কেনাকাটার ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর পদ্ধতি।’
এটি অন্যান্য ক্ষেত্রেও কার্যকর বলে মনে করছেন গবেষকরা। বিশেষ করে চাকরিজীবীরা মানসিক চাপ কমানোর জন্য কেনাকাটার একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন। এতে বাজারে গিয়ে চিন্তাভাবনা ও প্রয়োজনীয় বিষয় খুঁজে দেখার প্রয়োজনীয়তা কমে যায়।
মন্তব্য চালু নেই