স্তন ঝুলে পড়ার কারন? কিছু ভুল ধারনা, স্তনের যত্ন এবং চিকিৎসা!
বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্তন ঝুলে যাওয়া একটি সাধারন শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া। ২২/২৩ বছরে স্তন ঝুলে যাবার নানাবিধ কারন থাকতে পারে। বিএমআই (body mass index) বৃদ্ধি, স্তনের অতিরিক্ত আকার এবং ধুমপান (প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ) প্রায় যেকোন বয়সেই নারীর স্তন ঝুলে যাবার অন্যতম কারন। তাছাড়া যেসকল খেলাধুলায় স্তন সজোরে লাফালাফি করে (যেমন ব্যাডমিন্টন, দৌড়, উচ্চ লম্প ইত্যাদি) তা নারী স্তন ঢিলে হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ভুমিকা রাখে।
অবস্থার ক্রমবিকাশ :
যেকোন কারনে স্তন ঝুলে যাবার সাথে অস্থিবন্ধনী এবং স্তনের চার পাশের চামড়ার স্থিতিস্থাপকতার বিষয়টি জড়িত। বিএমআই (body mass index) বৃদ্ধি এবং বড় আকারের স্তন মধ্যকর্ষনের স্বীকার হয় বেশি।
স্তনের পেশীকলা নিচের দিকে টানা এবং স্তনের চামড়ার টান টান ভাব শীথিল/দুর্বল হয়ে যাওয়া ফলে স্তনে ঢিলা ভাব পরিলক্ষিত হয়। খেলাধুলার সময় ক্রমান্বয়ে স্তনের উপর-নিচ কম্পনের ফলেও স্তনের পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে – যা পরবর্তীতে স্তনকে সঠিক মাত্রায় সার্পোট দেয়ায় সামর্থ্য হারায়।
ভুল ধারনা :
নারীদের মধ্যে একটি সাধারন ভুল ধারনা আছে যে সন্তানকে স্তন দান করার কারনে অল্পবয়সে স্তন ঝুলে যায়। এই ধারনা এশিয়ার কিছু দেশে এখনো বিদ্যমান। তবে এই ভুল ধারনা মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের বেলায় প্রকট। আমেরিকান সোসাইটি অব প্লাষ্টিক সার্জন এর বর্ননা মতে স্তন দানের সাথে স্তনের আকার অথবা গঠন পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি যেসকল নারী একের অধিক সন্তানকে স্তন পান করান তাদেরও স্তনদানের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ প্রভাব স্তনের আকারে পড়েনা।
স্তনের যত্ন :
অল্প বয়সে স্তনের ঝুলে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে পরুন যা আপনার স্তনকে পুর্নমাত্রায় ধারন করতে সমর্থ। ভাল মানের ব্রা স্তনের ওজনকে আপনার কাধ, এবং মেরুদন্ডের উপর সমানভাবে বিস্তৃত করে দেয় যা স্তনের ঝুলে যাওয়াকে বিলম্ভিত করতে সহায়তা করে।
যেকোন প্রকার হালকা (সাঁতার, সাইকেল চালানো ইত্যাদি) এবং ভারী (দৌড়-ঝাপ, নৃত্য) ব্যয়াম করার সময় অবশ্যই স্পোর্টস ব্রা ব্যবহার করার ফলে গতির সাথে স্তনের কম্পন কমিয়ে স্তন সুঢৌল রাখতে ভুমিকা রাখবে। সঠিক এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রেখে এবং ধুমপান হতে বিরত থেকে অল্প বয়েসে স্তনের ঢিলা হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
চিকিৎসা :
কিছু ব্যয়াম, সঠিক আকারের ব্রা/অন্তঃবাস পরিধানের পাশাপাশি ঝুলে যাওয়া স্তন সুঢৌল করার একমাত্র উপায় হলো কসমেটিক সার্জারী। ব্রেষ্ট লিপ্টিং এবং স্তন বর্ধন সার্জারী নির্দিষ্ট মাত্রায় ঝুলে যাওয়া স্তনে কিছুটা উন্নতি আনতে পারে। তবে সার্জারীর মানে এই নয়যে সার্জারীকৃত স্তন আর কখনো ঝুলে/ঢিলে হবেনা। মধ্যাকর্ষন স্তনের পেশীকলায় পুর্বের ন্যায় প্রভাব ফেলতে পারে – তাই সার্জারীর এই ফলাফল ক্ষনস্থায়ী এবং স্বাভাবিক।
মন্তব্য চালু নেই