স্তন ক্যানসার রুখতে…
দিনে দিনে বেড়ে চলেছে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা। ক্যানসার হওয়ার পেছনে বহু কারণের মধ্যে জীবনযাত্রা, জেনেটিক এবং খাবার-দাবারের হাত থাকে। এছাড়াও মদ্পান, ধূমপান, ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখা, কায়িক পরিশ্রম না করা, দূষিত পরিবেশে বসবাস করা, শারীরিক অন্যান্য সমস্যায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা ইত্যাদি দায়ি থাকে। বাচ্চাকে দুধ পান না করালেও নারীদের স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা বেড়ে যায়। তাই এমন কিছু খাবারকে আমাদের বেছে নেয়া জরুরি যার মাধ্যমে দেহে স্তন ক্যানসার হওয়ার কোষ রোধ করে। আসুন জেনে নেয়া যাক সেসব খাবার সম্পর্কে।
হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন নামের উপাদান নানা ধরণের ক্যানসার যেমন- স্তন, স্কিন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ও ফুসফুসের ক্যানসারের জন্য দায়ি কোষকে ধ্বংস করে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমোটারি উপাদান ক্যানসার কোষকে ধীরে ধীরে নিস্তেজ করে দেয়। তাই স্তন ক্যানসার হতে নিজের দেহকে দূরে রাখতে প্রতিদিনের খাবারে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একগ্লাস পানির সঙ্গে একচিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন।
টমেটো
‘জার্নাল অফ ক্লিনিকাল ইনডোক্রিনোলজি এন্ড মেটাবোলিজম’ এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে খাবার তালিকায় টমেটো থাকা খুবই জরুরি। নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এই সময় নিয়মিত টমেটো খেলে ক্যানসারের জন্য দায়ি কোষকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়। টমেটোর লাইকোপেন ও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান স্তন ক্যানসারের জীবানুকে দেহে জন্মাতে দেয় না। আমেরিকান ইন্সটিটিউট ফর ক্যানসার রিসার্চার এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে টমেটোর লাইকোপেন উপাদান দেহকে টিউমার হওয়া থেকেও রক্ষা করে। তাই সুস্থ থাকতে টমেটো দিয়ে সালাদ বানিয়ে খান, প্রতিদিন জুস করেও খেতে পারেন।
রসুন
রসুনে থাকা সালফার কমপাউন্ডস, ফ্লেভনস এবং ফ্লেভনলস উপাদান স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন খেলে স্তন, মাউথ, পাকস্থলী এবং কোলন ক্যানসারের কোষকে ধ্বংস করা সম্ভব। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রসুন রাখুন। রান্নায় রসুন ব্যবহার করলে তা ১৫ মিনিট আগেই খোসা ছাড়িয়ে গ্রেট করে নিন। প্রতিদিন সকালেও খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেয়ে নিতে পারেন। এটি আপনাকে ক্যানসার থেকে রক্ষা করার সঙ্গে ওজন ঠিক রাখবে।
মন্তব্য চালু নেই