স্কুলে প্রথম হওয়ায় ৯ কোটি টাকা পুরস্কার!

কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে প্রায় সব স্কুলেই। কিন্তু চীনের একটি স্কুল পুরস্কার দেওয়ার যে বহর দেখালো, তা ছাপিয়ে গেছে কল্পনার যাবতীয় সীমা। শুরেন মিডল স্কুল নামের মেইনল্যান্ড চায়নার এই স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের যে নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি টাকায় তার মূল্য সোয়া ৯ কোটির কাছাকাছি।

মেইনল্যান্ড চীনে জুনিয়র হাই স্কুল পাশ করা শিক্ষাথীদের হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য একটি এন্ট্রান্স টেস্টে বসতে হয়। পরীক্ষাটির নাম জোংকাও। সেই পরীক্ষা কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করে যেসব ছাত্রছাত্রী শুরেন মিডল স্কুলে ভর্তি হয়েছে, তাদেরই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

চীনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মোট ২৩৯ জন শিক্ষার্থী পুরস্কৃত হয়েছে। পুরস্কারের জন্য ব্যয় করা হয়েছে মোট আট মিলিয়ন ইউয়ান। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার সমতুল।

গত ২০ নভেম্বর ঘটে যাওয়া এই ঘটনার খবর সংবাদমাধ্যমে ছবিসহ প্রকাশিত হওয়ার পরেই প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে চীনের বিভিন্ন মহলে। সকলেরই বক্তব্য, কিশোর বয়স্ক শিক্ষার্থীদের হাতে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উপহার হিসেবে তুলে দেওয়ার ফলে তাদের বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

মনস্তাত্ত্বিকরাও বলছেন, অল্প বয়সে এত বিরাট অঙ্কের টাকা হাতে পেলে কিশোর-কিশোরীরা অর্থ এবং পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য বুঝতে শিখবে না। এমনকী ভবিষ্যতে তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিক হয়ে ওঠার শঙ্কাও রয়েছে যথেষ্ট।

স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, যে টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটা নিছক পুরস্কার নয়, বরং স্কলারশিপ। এই টাকা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ যেমন জোগাবে, তেমনই পড়াশোনার প্রতি তাদের আগ্রহও বাড়াবে। তাছাড়া ভবিষ্যতে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও স্কলারশিপের আকর্ষণে শুরেন মিডল স্কুলে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হবে বলেও আশা স্কুল কর্তৃপক্ষের।-বিডি প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই