স্কুলজীবনে এ কাজ সবাই করেছে, তাই বলে কেউ জেলে গিয়েছে?
কপালটাই খারাপ এই সুন্দরীর। তাই বলে হেনস্থা! এক্কেবারে সোজা জেলে। স্কুলজীবনে এ কাজ সবাই করেছে, তাই বলে কেউ জেলে গিয়েছে?
না হয় একটু-আধটু ওই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিল সে। এর থেকে না হয় স্কুলের মাস্টারমশাই বেতপেটা করতেন!
নাম তার ম্যাডিসন কক্স। বয়স ১৭। এরই মধ্যে ‘মিস টিন সাউথ ক্যারোলিনা ইন্টারন্যাশনাল’ হয়ে সেলিব্রিটি বনে গেছে এই কিশোরী। কিন্তু এহেন ম্যাডিসনকে জেলে যেতে হলো। কী এমন করেছিল ম্যাডিসন?
ম্যাডিসন একজন হাইস্কুলের ছাত্রী। অভিযোগ দিনের পর দিন চিকিৎসকের নকল প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে স্কুল যেত না সে।
পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হওয়ায় তারা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ম্যাডিসন নামে তার কোনো রোগী নেই বলে জানিয়ে দেন।
সেইসঙ্গে বলেন, ম্যাডিসন নামে কাউকেই তিনি কোনো প্রেসক্রিপশনও দেননি। এরপরই ম্যাডিসনকে শিক্ষা দিতে পুলিশে অভিযোগ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্পার্টানবার্গ কান্ট্রি পুলিশ এরপর গ্রেফতার করে ম্যাডিসনকে। তার বিরুদ্ধে চিকিৎসকের জাল নথি পেশ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সোমবার গ্রেফতারের পর মঙ্গলবারই জামিন পেয়েছে ম্যাডিসন কক্স। স্কুল কেটে পালানোর এমন ঘটনায় সাউথ ক্যারোলিনায় হইচই পড়ে গেছে।
জেল থেকে ফিরেই টুইট করেছিল ম্যাডিসন। আর তারপরই তার টুইটার অ্যাকাউন্টে ঝড় বইছে তির্যক সব মন্তব্যের। এতে প্রবল ক্ষিপ্ত ম্যাডিসন।
চিকিৎসকের জাল প্রেসক্রিপশন দেয়ায় এভাবে তাকে গ্রেফতার করা যায় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সে।
ম্যাডিসনের টুইটকে ব্যাঙ্গ করে অনেকেই টুইট করেছেন। তাতে ম্যাডিসনের শেষপর্যন্ত উক্তি, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লোকজনের এত উৎসাহ কেন?’
মন্তব্য চালু নেই