স্কুলছাত্রী টুম্পাকে উদ্ধার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ, মানববন্ধন

নাসরিন আক্তার, মুন্সীগঞ্জ থেকে : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে স্কুলছাত্রী টুম্পা রানীকে দ্রুত উদ্ধার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নিমতলী-মুক্তারপুর সংযোগ সড়কের আব্দুল্লাহপুর চৌরাস্তা অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রী ও জনতা। পরে একইস্থানে আব্দুল্লাহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় সহস্রধিক হাজার শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কমসূচি পালন করেন।

পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল্লাহপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশররফ হোসেন, অভিভাবক সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাবেক সদস্য ডা. আব্দুল আলিম, টুম্পার বাবা সামু ঘোষ ও মা।

এ সময় বক্তারা বলেন, ৮দিন হয়ে গেলেও টুম্পাকে উদ্ধারে প্রশাসন নিরব। তারা টুম্পাকে দ্রুত উদ্ধার এবং অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন।

তারা বলেন, এলাকার চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালী কতিপয় নেতা অপহরণকারীদের শেল্টার দিচ্ছে। ফলে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের মতে, প্রেমের সম্পর্কের কারণে গত ২ রা জুন সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী টুম্পা রানী তার প্রেমিক এনজিও সি-দ্বীপ কর্মচারী মাসুদ রানার সাথে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে স্থানীয় লম্পট সোহেল মৃধা (৪৬) ও বাজার পাহারাদার স্বপন (৩৮) তাদের আটক করে সি-দ্বীপ ওই শাখার বাবুর্চি সোনাবানু বেগমের (৪২) সহায়তায় এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। পরে মাসুদের কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা, ২ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ২টি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে পাঠিয়ে দেয় এবং টুম্পাকে একা অন্য এক স্থানে নিয়ে যায়। এরপর থেকে টুম্পা রানীর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।

এ ঘটনায় টুম্পার বাবা সামু ঘোষ বাদী হয়ে গত ৪ই জুন ৩ জনকে আসামি করে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এরপর পুলিশ সোহেল মৃধা ও সোনাবানু বেগমকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার বিকেলে পুলিশ সোহেলকে দুইদিনের রিমান্ডে টঙ্গীবাড়ী থানায় নেয়।

এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ী থানার এসআই শাখাওয়াত হোসেন জানান, ১নং আসামি সোহেল মৃধাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।



মন্তব্য চালু নেই