সৌন্দর্যের কথকতা, রঙিন ঠোঁটের গোপন কথা

রঙিন একজোড়া ঠোঁটে নারীর অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। লিপস্টিক ছাড়া সাজগোজটা যেন সম্পূর্ণ হয় না। প্রত্যেক নারীর মেকআপ বক্সে লিপস্টিক থাকবেই। বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে বা নিত্যদিনের কাজের ফাঁকে কখনও হালকা, কখনও গাঢ় লিপস্টিকের রঙে ঠোঁটখানি একটু রাঙিয়ে নেওয়া। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই যদি তা ঘেঁটে যায়। বিশেষ করে অনুষ্ঠানের মাঝে যদি লিপস্টিক তার সঠিক জায়গায় না থাকে তাহলে কী বাজেই না দেখায় বলুন! লিপস্টিক থাকবে সঠিক জায়গায়, তবেই না ঠোঁটজোড়া অনেকক্ষণ পর্যন্ত রঙিন থাকবে। তবে তার জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি পদ্ধতি-

১. লিপস্টিক লাগানোর আগে প্রথম কাজ ঠোঁটের শুকনো চামড়া তুলে ফেলা। না হলে যত ভালোই লিপস্টিক পরুন না কেন ভালো দেখাবে না। প্রয়োজনে স্ক্রাব ব্যবহার করে মরা চামড়া তুলে ফেলতে পারেন।

২. মরা চামড়া তোলার পর ঠোঁটে লিপ বাম লাগান। তাতে ঠোঁটের সজীবতা ফিরে আসবে। দূর হবে রুক্ষভাব। লিপস্টিক ভালোভাবে বসবে ঠোঁটে। তবে রঙিন লিপ বাম ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ লিপস্টিক লাগানোর পর তার রং বদলে যেতে পারে।

৩. ঠোঁটে হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। গায়ের রং চাপা হলে তা খুবই ভালো কাজ দেবে। লিপস্টিকের রং ভালো ফুটবে। গোলাপি ঠোঁট হলে ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে খুব কম।

৪. খুব গাঢ় রঙের লিপস্টিক পরার আগে কনসিলার দিয়ে ঠোঁটে আউটলাইন করে নেওয়া প্রয়োজন। তাতে ঠোঁটের সীমারেখা ভালো বুঝতে পারবেন।

৫. এরপর একটি লিপ লাইনার দিয়ে আউটলাইন করে নিন। তারপর পুরো ঠোঁট রাঙিয়ে নিন। লিপস্টিকের তুলনায় লিপ লাইনার অনেকটা ড্রাই হয়, তা ঠোঁটে লিপস্টিকের ভালো কালার কনট্রাস্ট এনে দেবে।

৬. লিপস্টিক সব সময় ঠোঁটের মাঝখান থেকে পরা উচিত। এরপর লিপস্টিকে টেনে নিন ঠোঁটের দুই প্রান্তে।

৭. যত্ন সহকারে সমস্ত ঠোঁটে লাগিয়ে নিন।

৮. এবার একটি টিশু নিয়ে ঠোঁটের উপর আলতো করে চেপে ধরুন। তাতে লিপস্টিকের অতিরিক্ত গ্লসিভাব দূর হবে।

৯. টিশু তুলে নিয়ে আবার একবার টান দিয়ে নিন লিপস্টিকের। দেখবেন, কেমন সুন্দর ফুটে উঠেছে লিপস্টিকের রং। তা অনেক সময় পর্যন্ত একইরকম থাকবে। -কালের কন্ঠ।



মন্তব্য চালু নেই