ইয়াহিয়ার পা চাটারা এখনো আছে : শেখ হাসিনা
ইয়াহিয়া খানের পা চাটা কুকুর এখনো বাংলাদেশে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এদেশে এখনো পরাজিত শক্তির দোসর রয়েছে। ইয়াহিয়া খানের পালিত কুকুরের দল এখনো এদেশে রয়েছে। যারা ১৫ এবং ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে। তাদের সম্পর্কে ছাত্র সমাজকে সজাগ থাকতে হবে। পাশাপাশি দেশবাসীকেও সজাগ থাকতে হবে।’
রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ারদী উদ্যানে ছাত্রলীগ কতৃক আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। কী পেলাম, না পেলাম তা ভাবলে চলবে না। সবহারা বেদনা নিয়েও আমি আজ এদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরের পর যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে পাকিস্তান চলে গিয়েছিল, তাদের আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কর্নেল ফারুক ও কর্নেল হুদাকে ছিয়ানব্বই সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে সংসদ সদস্য বানিয়েছিল। পরে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা সেই হুদার ফাঁসি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর বিভিন্ন সদস্যকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে সাদাগাড়িতে করে ধরে নিয়ে নির্যাতন, গুম করে দিয়েছে।’
আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন একাশি সালে দেশে ফিরে এসেছিলাম তখন জিয়াউর রহমান আমাকে ৩২ নম্বরের বাড়ির যেতে দেয়নি। আমি সেই লেকের পাশে বসেই দোয়া করেছিলাম জাতির পিতার জন্য।’
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসে যুদ্ধপরিচালনায় বিশ্বব্যাপী যতগুলো ভাষণ দেয়া হয়েছে তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধের পর মাত্র সাড়ে ৩ বছরে দেশকে তিনি যেভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন তাও বিশ্বে অনন্য। এই সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যে উদ্যানে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘রাজনীতি দু ধরনের। একটি ভোগের, অন্যটি ত্যাগের। এরকম রাজনীতি বাংলাদেশে আছে যাদের কিছুই ছিল না, রাজনীতি করতে গিয়ে তারা এখন অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষা নীতিমালা ঘোষণা করেছি। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি পাসের হার ৯৮ ভাগের ওপর তুলতে হবে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক মেধাবী। তারা কেন ফেল করবে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ। সভা সঞ্চলনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াদুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণগোপাল দত্তসহ ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
মন্তব্য চালু নেই