সোনামণি পড়বে আগ্রহ নিয়ে!

আসছে নতুন বছর। সোনামণিকে স্কুলে ভর্তি করবেন, কিন্তু পড়ার কথা শুনলেই তার নানা টালবাহানা। কিছুতেই তাকে পড়তে বসানো যাচ্ছে না। এমনি চিন্তায় পড়ে গেছেন অনেক মা-বাবা। অথচ সহজেই তার মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ গড়ে তোলা সম্ভব। সেজন্য আপনাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে সদ্যজাত শিশুকেও বই পড়ে শোনানো উচিত। জন্মগ্রহণের পর থেকেই বাচ্চাদের জ্ঞানের তৃষ্ণা থাকে প্রবল। জন্মগ্রহণের পরপরই বাচ্চারা ভাষা শিখতে শুরু করে।
শুরুতেই আপনি কোন ধরনের বই পড়ে শোনাচ্ছন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। উপন্যাস বা পত্রিকা যা-ই হোক না কেন পড়তে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বাচ্চাদের বই-ই সবচেয়ে ভালো। যেমন, যখন চোর গোপনে বাড়িতে ঢুকতে যাচ্ছে, তখন আপনি এ দৃশ্য বর্ণনা করবেন ফিস ফিস করে। বজ্রপাতের কোনো দৃশ্যের বর্ণনা অবশ্যই জোরে জোরে পড়তে হবে। দৃশ্য অনুযায়ী পড়ার ভঙ্গি ও সুর পরিবর্তন করলে, বাচ্চাদের গল্প শোনার আগ্রহ বাড়বে। এক বছর পর বাচ্চা আপনার পড়া শব্দ মুখস্ত করতে আগ্রহী হবে। বইগুলোর কাভার পরিবর্তন করলেও, বাচ্চারা তা ঠিকই চিহ্নিত করতে পারে।সোনামণি পড়বে আগ্রহ নিয়ে!২
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনার বাচ্চার পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে চাইলে আপনি প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট বাচ্চাকে বই পড়ে শোনান। হাত, মুখ নেড়ে অভিনয় করে বাচ্চাকে শোনান। এটা বাচ্চার মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। বাচ্চাকে জোরে জোরে বই পড়ে শুনালে তারা সহজে শব্দ, ক্রিয়া শব্দ এবং বাক্য শিখতে পারে। এছাড়া আপনার কণ্ঠ থেকে ভালোবাসাও অনুভব করতে পারবে।
স্কুলে যাওয়ার আগে যেসব বাচ্চা বই থেকে যথেষ্ট পাঠ শোনেনি বা নিজেরা পড়েনি, তারা স্কুলে গিয়ে বই পড়তে আগ্রহী হয় না। এটা তাদের পরবর্তী শিক্ষাজীবনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর যাদের পড়ার অভ্যাস আগে থেকেই তৈরি হয়, তারা স্কুলের পড়া করতেও প্রবল আগ্রহী হয়।



মন্তব্য চালু নেই