সোনামণি নতুন ক্লাসে যাওয়ার আগে…
আর মাত্র কিছুদিন পরেই সোনামণি নতুন ক্লাসে যাবে। এবারই তাকে প্রথম স্কুলে ভর্তি করা হবে। নতুন জামা, নতুন জুতা, নতুন ব্যাগ-বই, পানির বোতলটাও নতুন- ভাবতেই অজানা এক প্রশান্তি। কিন্তু সব কিছুর আগে প্রয়োজন সোনামণিকে স্কুলের জন্য প্রস্তুত করা। সোনামণির হাতে খড়িটা মা-বাবাই দিয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমান যুগের চাহিদা বা ট্রেন্ড যাই বলুন না কেন, সন্তানের স্কুলে ভর্তি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন গৃহশিক্ষক বা প্রাইভেট টিউটরের হাতে। তবে প্লে বা নার্সারিতে পড়লে সোনামণিকে মা বাবাই শেখাতে পারেন। মা বাবা দুজনেই ব্যস্ত থাকলে ভিন্ন কথা।
সোনামণির পড়ার অভ্যাসটা যেহেতু নতুন করে তৈরি করতে হবে, তাই সব সময় অভিজ্ঞ শিক্ষক নির্বাচন করা জরুরি। শিক্ষক যেন তার সঙ্গে খেলা করা, হাসি ঠাট্টা করার মাঝে পড়ানোর মতো দক্ষ হয়। আদর, স্নেহ, ভালোবাসা আর মৃদু শাসনের মধ্যে একজন উপযুক্ত শিক্ষক তার পাঠদান কর্মসূচি পালন করেন। তাই ভালো শিক্ষক নির্বাচন করাটা অনেক বেশি জরুরি।
সোনামণি যেহেতু নতুন করে পড়ার চাপ নিতে যাচ্ছে, তাই তার খাওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। তার উপযুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। একেকবারে অল্প পরিমাণ খাওয়ার জন্য পড়ার মাঝে তার ক্ষুধা লেগে যায়। আর ক্ষুধা লাগলে পড়ার আগ্রহ কমে আসে। বাড়িতে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন। স্কুলে টিফিন নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পছন্দকে প্রাধান্য দিন। তার পছন্দের টিফিন বক্সে খাবার নিয়ে গেলে আগ্রহের সঙ্গে খাবে।
ক্লাস ওয়ান থেকে ফোর পর্যন্ত টিউটর দিতে চাইলে আপনার চেনাজানা ভালো স্টুডেন্ট টিউটর বা ক্লাসের শিক্ষক দিয়ে পড়ানো ভালো। ক্লাস ফাইভ গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এখানে একটি প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট এর পরীক্ষা হয়। এই শ্রেণীতে অভিজ্ঞ স্কুলের শিক্ষকই ভালো। কেননা, তাতে বিভিন্ন বছরে আসা প্রশ্ন সহ অনেক কিছুই সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়। একই কথা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এর পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। এই পরীক্ষাটি হয় অষ্টম শ্রেণীতে। মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এটা মেনে চলতে পারেন। সাধারণত তিনটি পরীক্ষাতেই প্রায় সব স্কুল থেকেই কোচিং করানোর ব্যবস্থা থাকে। এই কোচিং গুলো করা উচিত।
মন্তব্য চালু নেই