সেহরি খাওয়া সুন্নত ও সওয়াবের কাজ
রোজার জন্য সেহরি খাওয়া সুন্নত ও সওয়াবের কাজ। অথচ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সময় মতো সেহরি খান না। আবার অনেকেই আছেন যারা সেহরি খাওয়াকে খুব একটা গুরুত্বের চোখে দেখেন না। কিন্তু এটা মোটেই ঠিক না।
সেহরি খাওয়ার বিষয়ে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাবে, এতে অনেক বরকত আছে।’ এছাড়াও-
১. পেট পুরে সেহরি খাওয়া জরুরি নয়। দুই বা এক লোকমা অথবা খেজুরের টুকরা কিংবা দুই/চার দানা খেলেও যথেষ্ট।
২. সুবহে সাদিকের পূর্বে রাতের শেষভাগে সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব।
৩. যদি সেহরি খেতে বিলম্ব হয়ে যায় এবং প্রবল ধারণা হয় যে, ভোর হওয়ার পর কিছু পানাহার করেছেন, তবে এ অবস্থায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার ত্যাগ করা এবং পরে ওই রোজা কাজা করা ওয়াজিব।
জেনে রাখা ভালো-
► সেহরি খাওয়া সুন্নত। পেটে ক্ষুধা না থাকলে দু-একটি খেজুর খেয়ে নেয়া উত্তম অথবা অন্য কোনো খাবার খেয়ে নেবেন। (হেদায়া : খ. ১, পৃ. ১৮৬)
► বিলম্বে সেহরি খাওয়া উত্তম। আগে খাওয়া হয়ে গেলে শেষ সময়ে কিছু চা বা পানি পান করলেও সেহরির ফজিলত অর্জিত হবে। (হেদায়া : খ. ১, পৃ. ১৮৬)
► সন্দেহ হয়, এমন সময় সেহরি খাওয়া মাকরুহ। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০১)
► সঠিক ক্যালেন্ডারে সুবহে সাদিকের যে সময় দেয়া থাকে, তার দু-চার মিনিট আগে খানা বন্ধ করে দেবে। এক-দু মিনিট আগে-পিছে হলে রোজা হয়ে যাবে, তবে ১০ মিনিট পর খাওয়ার দ্বারা রোজা হবে না। (আপকে মাসায়েল : খ. ৩, পৃ. ২০১) কিন্তু মনে রাখতে হবে, শুধু ক্যালেন্ডারের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। কেননা অনেক সময় তাতে ভুলও হয়ে থাকে, তাই এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া দরকার।
► নিদ্রার কারণে সেহরি না খেতে পারলেও রোজা রাখতে হবে। সেহেরি না খেতে পারায় রোজা না রাখা অত্যন্ত পাপ। (বেহেস্তি জেওর : পৃ. ৩৫৩)
মন্তব্য চালু নেই